
নিউজ ডেস্ক :
২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ কংগ্রেস দলীয় প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ দাবী করে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছে। দলীয় প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে নিবন্ধন পর্যন্ত ‘শাপলা’ ব্যবহার করে বলে দলটির পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর প্রদত্ত আবেদনে বলা হয়, দলের প্রথম প্রচারপত্রে ন্যাচারাল ডিজাইনে শাপলার ব্যবহার হয়। পরে শৈল্পিক ডিজাইন করে সকল কাগজপত্রে শাপলা দলীয় প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব এ্যাডঃ মোঃ ইয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত আবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালে নিবন্ধনের আবেদন করার সময় নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়, শাপলা জাতীয় প্রতীক এবং এটা দলীয় প্রতীক হতে পারে না। নির্বাচন কমিশনের উক্ত কথার প্রেক্ষিতে দলটির পক্ষে ‘বই’ প্রতীক প্রস্তাব করে আবেদন জমা দেয়া হয়, যদিও আবেদনপত্রের সাথে জমাকৃত কাগজপত্র ও দলীয় লোগো’তে তখনও শাপলার ছবি ছিল।
আজ ১৩ অক্টোবর সোমবার দাখিলকৃত আবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের রায় অনুসারে যখন বাংলাদেশ কংগ্রেস-এর নিবন্ধন দেয়া হয়, তখন দলটির পক্ষ থেকে ‘বই’ প্রতীক দাবী করা হয়, কিন্তু গেজেটভূক্ত প্রতীকের বাইরে প্রতীক দেয়া সম্ভব নয় বলে তাদেরকে ‘ডাব’ প্রতীক নিতে বাধ্য করা হয়।
বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবেদনে আরও বলা হয়, সম্প্রতি কোন কোন রাজনৈতিক দল থেকে ‘শাপলা’কে দলীয় প্রতীক হিসেবে চাওয়া হচ্ছে। সে প্রেক্ষিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় প্রতীক ‘শাপলা’কে যদি দলীয় প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়, সেক্ষেত্রে প্রথম দাবীদার বাংলাদেশ কংগ্রেসকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
‘শাপলা’ প্রতীকের প্রথম দাবীদার হিসেবে আবেদনের সাথে প্রয়োজনীয় দালিলিক প্রমাণাদি সংযুক্ত করে বাংলাদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়, দলীয় প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ বরাদ্দ করলে বাংলাদেশ কংগ্রেসকে অগ্রাধিকার দিয়ে ‘ডাব’ প্রতীকের পরিবর্তে ‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দ দিতে হবে।
বাংলাদেশ কংগ্রেস ছাড়া অন্য কাউকে ‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে এ্যাডঃ ইয়ারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান।