এমডি রেজওয়ান আলী বুরো প্রধান-
স্থানীয় প্রশাসনের আয়োজনে নানা কর্মসূচি পালিত হলেও,অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় সংবাদ মাধ্যমকে সেই কার্যক্রম থেকে সচেতনভাবে আড়ালে রাখা হচ্ছে। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনার পর সমালোচনার ঝড় উঠেছে সাংবাদিক মহলে। প্রশাসনের এ ধরনের আচরণকে অনেকেই বলছেন “প্রহসন” ও “উদাসিনতার পরিচয়”।
প্রকৃত অর্থে সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে সমাজের অসঙ্গতি, দুর্নীতি ও জনগণের কণ্ঠস্বর তুলে ধরেন। তারা শুধু খবর সংগ্রহ করেন না, বরং জাতির উন্নয়নের ধারায় সরকারের সহযাত্রী হিসেবেও কাজ করে থাকেন। অথচ সেই সাংবাদিকদের প্রতি প্রশাসনের এমন অবহেলা ন্যায়সঙ্গত নয়— এমন মন্তব্য এসেছে সচেতন মহল থেকেও।
অনেক স্থানীয় সাংবাদিক জানান, সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে তারাই দিনরাত পরিশ্রম করেন। কিন্তু যখন প্রশাসন সাংবাদিকদের উপেক্ষা করে নিজেদের মতো করে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে,তখন সেটি শুধু সংবাদ মাধ্যমের নয়,বরং গণতন্ত্রের মৌলিক ভিত্তির ওপরও আঘাত হানে।
বিশেষজ্ঞদের মতে,প্রশাসন ও সাংবাদিকদের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বজায় রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। কারণ,সাংবাদিকতা শুধু সংবাদ প্রকাশ নয়—এটি সমাজ,রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করে। তাই প্রশাসনের উচিত সংবাদ কর্মীদের মর্যাদা রক্ষা করা,তাদের অবদানের স্বীকৃতি দেওয়া এবং সরকারি-বেসরকারি যেকোনো কর্মসূচিতে সংবাদ মাধ্যমকে যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা। শেষ পর্যন্ত বলা যায়—
দেশ ও জনগণের কল্যাণে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
তারা সত্যের পথে থেকে জাতিকে আলোকিত করেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম ধরেন, আর তাই — সাংবাদিকরা কখনোই প্রান্তিক নয়, তারা জাতির বিবেক।