নিজস্ব প্রতিনিধি বিপ্লব সরকার টাঙ্গাইলের কালিহাতি
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে কালিহাতি কেন্দ্রীয় জয় কালীবাড়ি মন্দির থেকে এবং উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এক যুগে ঝিনাই নদীতে অংশ নেয় এই বিজয় দশমীর নৌকা শোভাযাত্রা, ঝিনাই নদীতে হাজারো ভক্ত দেবীকে বিদায় জানাতে জড়ো হয় নদীর দুই পাড়ে, কালিহাতী উপজেলা প্রশাসন পৌরসভার পক্ষ থেকে পুরাতন থানা ঘাটলায় সুন্দর একটি মঞ্চ করে প্রশাসন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব খায়রুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সায়েদা খানম লিজা,কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান, আর্মি ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ইশতিয়াক হুসেন নাসিফ,উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি মজনু মিয়া বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কালিহাতী নির্বাহী সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র সাহা, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ডের সদস্য সচিব প্রবাল কুমার ভট্টাচার্য মানিক,যুগ্ম সচিব সমির সাহা চৌধুরী, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কালিহাতী ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব সরকার, পৌরসভার সিনিয়র অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম রফিক, সহ রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রথাগত বিশ্বাস অনুযায়ী মর্ত লোকের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দেবী দুর্গা স্বর্গলোক কৈলাস ছেড়ে আসেন। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত বাবার বাড়িতে কাটানোর পর তিনি আবার কৈলাসে ফিরে যান। এই পাঁচ দিন ধরে ভক্তরা দেবীর বন্দনা করেন। বিজয়া দশমীতে পূজা উদযাপনের একটি প্রধান আচার হিসাবে নারীরা দেবীকে মিষ্টিমুখ করিয়ে সিঁদুর খেলায় অংশ নেন।যা ঐতিহ্যবাহী সিঁদুর খেলার অংশ এ সময় হিন্দু নারীরা একে অপরের গায়ে সিঁদুর মেখে সমৃদ্ধি ও শুভকামনা করেন। কালিহাতি উপজেলার ১৭৫ পূজা মন্ডপ থেকে পৃথক পৃথকভাবে দুপুর বারোটা থেকেই প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়, বিসর্জনের সময় অনেক ভক্ত অশ্রুসিক্ত হন, আবার নিচে গিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। বিসর্জন নির্ভীঘ্ন ও নিরাপদ করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন করায় পূজার আয়োজক কমিটি সন্তোষ প্রকাশ করেন।