নুরুল হক
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি:
যশোরের মণিরামপুরে মুদি দোকান থেকে একটি পাউরুটি চুরির অপবাদ দেওয়ার পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির পাশে একটি পুকুর থেকে মাহমুদা খাতুন নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রীর অর্ধ উলঙ্গ ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করে। তবে ওই ছাত্রীর মৃত্যু রহস্য এখনও পুলিশ উদঘাটন করতে পারেনি। পুলিশ বলছেন ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যু রহস্য উদঘাটিত হবে। নিহত মাহমুদা খাতুন উপজেলার রোহিতা এলাকার একটি মসজিদের ইমাম আইনুল হকের মেয়ে। এ ব্যাপারে নিহতের পিতা বাদি হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, পলাশী মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী মাহমুদা খাতুন সোমবার দুপুর একটার দিকে মাদ্রাসা ছুটি হলে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে বাড়িরপাশে হাসানুর রহমানের মুদি দোকানের সামনে দাড়িয়ে থাকে মাহমুদা। এ সময় দোকানে ছিলেন হাসানুরের স্ত্রী মাহমুদা বেগম। মাহমুদা বেগম অভিযোগ করেন দোকান থেকে একটি পাউরুটি চুরির সময় হাতেনাতে তিনি তাকে ধরে ফেলেন। এক পর্যায়ে হাসানুরের স্ত্রী মাহমুদা বেগম ওই ছাত্রীর কাছ থেকে তার বইভর্তি ব্যাগটি কেড়ে রেখে তার মাকে খবর দিতে বলেন। খবর পেয়ে মাহমুদা খাতুনের মা শাহিনুর বেগম দোকানে এসে ঘটনা শুনে অভিমানে মেয়েকে জুতা দিয়ে মারপিট করে এবং তাকে বাড়িতে আসতে নিষেধ করেন। ফলে মাহমুদা আর বাড়িতে ফেরেনি।
রাত হয়ে গেলে বাড়ির লোকজন মাহমুদাকে খুজাখুজি শুরু করেন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে মাহমুদাকে বাড়ির পাশে পুকুরঘাটে বসে থাকতে দেখেন পাশর্^বর্তি গৃহবধু তহমিনা খাতুন ও মিম খাতুন। দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ওই পুকুর থেকে স্থানীয়রা মাদ্রাসা ছাত্রী মাহমুদার ভাসমান অর্ধ উলঙ্গ লাশ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদি হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন। তবে মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবলুর রহমান খানসহ এলাকার অনেকেই জানিয়েছেন মাদ্রাসা ছাত্রী মাহমুদা খাতুন সাতার জনতেননা। ধারনা করা হচ্ছে পুকুরে গোসল করতে নেমে পা পিছলে হয়ত ডুবে গিয়ে তার মৃত্যু হতে পারে।
নূরুল হক
মণিরামপুর, যশোর।
মোবাইল-০১৭২১৩৯০২০৮
তারিখ-০৯/০৯/২০২৫ইং