মিরু হাসান, স্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ার শাজাহানপুরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও র্যাবের যৌথ দল। এ সময় ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার ও একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার রহিমাবাদ উত্তর পাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে রাতুল (২২), শাবরুল কারিগর পাড়া গ্রামের বিপুল হোসেনের ছেলে তারেক হোসেন(৩২), বগুড়া সদর উপজেলার সাতশিমুলিয়া গ্রামের মৃত আলমগীর হোসেনের ছেলে সুমন প্রামানিক (২২), একই উপজেলার সুলতানগঞ্জ পাড়া এলাকার মৃত পুটু মিয়ার ছেলে সাব্বির পাশা ওরফে শাওন (৩৩), একই এলাকার মৃত গোলাম মো. পাশা’র ছেলে মোস্তফা পাশা ওরফে শ্যামল (৩৫), মালগ্রাম উত্তর পাড়ার মৃত কামাল মিয়ার ছেলে কালাম ওরফে সুরমা কালাম ওরফে জামাল (৩৪) এবং নিশিন্দারা মধ্যপাড়া এলাকার মৃত সাজ্জাদের ছেলে রাসেল আহম্মেদ (৩৫)।
মামলার সূত্র জানা যায়, শাজাহানপুর থানার মামলা নং-১৫, তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২৫, ধারা ১৭০/১৭১/৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোডে এ মামলা রুজু হয়। বাদী ছিলেন মৌলভীবাজার জেলার মো. আরিফ হোসেন। ঘটনাপ্রবাহ গত ১২ আগস্ট ভোরে ঢাকা থেকে বগুড়ার পথে একটি ভাড়া করা টাটা পিকআপে ফার্নিচার পরিবহনের সময় শাজাহানপুরের রহিমাবাদ এলাকায় ১৪-১৫ জন ডাকাত ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে গাড়ি থামায়। তারা ড্রাইভার ও হেলপারকে হাতকড়া পরিয়ে, চোখ ও হাত বেঁধে মারধর করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে চালকের মোবাইল, টাকা ও ড্রাইভিং লাইসেন্স, হেলপারের মোবাইলসহ মোট প্রায় ২৪ হাজার টাকার মালামাল ছিনিয়ে নেয়।
ডাকাতরা পিকআপসহ প্রায় ৫.৭৫ লাখ টাকার সম্পদ লুট করে পালিয়ে যায়। পুলিশের অভিযান মামলা রুজুর পরপরই শাজাহানপুর থানা পুলিশ প্রথমে মো. রাতুল (২২) কে গ্রেফতার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে আরও ছয় ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের সময় আসামিদের হেফাজত থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার এবং একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়।
আসামিদের অতীত গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক মামলা রয়েছে। মো. রাতুল এর বিরুদ্ধে মাদক, ডাকাতি ও হামলার অন্তত পাঁচটি মামলা রয়েছে। মো. সাব্বির পাশার বিরুদ্ধে মাদক মামলার রেকর্ড রয়েছে।
মো. মোস্তফা পাশা ওরফে শ্যামলের বিরুদ্ধে অন্তত ছয়টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে মাদক, হামলা ও দ্রুত বিচার আইনের মামলা আছে। মো. কালাম ওরফে সুরমা কালাম এর বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, হত্যা, ডাকাতি ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে।
মো. রাসেল আহম্মেদের বিরুদ্ধেও মাদক ও ডাকাতিসহ একাধিক মামলা আছে।
মো. তারেক হোসেনের বিরুদ্ধেও খুন, হামলা, মাদক ও ডাকাতিসহ সাতটি মামলা রেকর্ড করা আছে।
শাজাহানপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত ৭ ডাকাতকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া লুণ্ঠিত মালামাল এবং ডাকাতির সাথে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান আছে।##