1. nazirhossen6120@gmail.com : দৈনিক লোকবাণী : দৈনিক লোকবাণী
  2. info@www.lokobani.com : দৈনিক লোকবাণী :
শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
তালা-কলারোয়া আসনের অভিভাবক হিসেবে আবারও এগিয়ে আসছেন হাবিবুল ইসলাম হাবিব নওগাঁয় মহিলা ভুয়া পুলিশ সদস্যসহ ৬ জন গ্রেপ্তার বিরামপুরে ক্লাস্টার ডেভেলপমেন্ট প্লান্ট শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের আয়োজনে সুধী সমাবেশে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক এনআরবি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত ঐক্যফ্রন্টের বিশ্ব এক নতুন মঞ্চ-অভিবাসীদের পাশে দাঁড়াতে হবে দেবহাটায় প্রশাসনের আয়োজনে তারুণ্যের উৎসব (২য় পর্যায়) উদযাপনে প্রস্তুতি সভা ভাঙা স্বপ্নের ছায়া বিস্ফোরক মামলায় স্বপ্নপুরী মালিক দেলোয়ার হোসেন সহ ১০জন আটক জেলার। সদর ইউনিয়ন। বিএনপি’র কমিটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণাঃ

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও ক্ষতিকর রং মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে আইসক্রিম

প্রতিনিধির নাম :
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৪৩ বার পড়া হয়েছে

 

 

মোঃ শাহারুল ইসলাম রাজ
স্টাফ রিপোর্টার

সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও ক্ষতিকর রং মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে শিশুদের প্রিয় খাবার আইসক্রীম। আইসক্রিম তৈরির জন্য আলাদা পরিবেশ ও নিয়মনীতি থাকলেও তা ছিটেফোঁটা মানছে না আইসক্রিম ফ্যাক্টরীর মালিকেরা।

অস্বাস্থকর পরিবেশে তৈরিকৃত এ সব নিম্ন মানের আইসক্রীম খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে উপজেলার কোমলমতি শিশুরা। তৈরিকৃত এ আইসক্রীম মাছের ককসেটে ভরে মটরভ্যান বাইসাইকেল মাইক লাগিয়ে আকর্ষণীয় প্রচারের মাধ্যমে বিক্রয় করা হচ্ছে গ্রাম পাড়া-মহল্লার অলিতে-গলিতে হাট-বাজারে এবং বিভিন্ন বিদ্যালয়ের সামনে। প্রত্যেকটি আইসক্রীম বিক্রি হয় ৩ টাকা থেকে ৫ টাকায়। প্রচন্ড তাপদাহে পিপাসা মিটানোর জন্য শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও খাচ্ছে এই আইসক্রীম। ফলে প্রতিনিয়ত আমাশা, ডায়রিয়া, সর্দি-কাশিসহ নানা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে হাজারও মানুষ।

গত সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার গয়ড়া বাজারের পাশে চন্দনপুর প্রাইমারি স্কুলের সামনে একটি জরাজীর্ণ ঘরে অস্বাস্থ্যকর পরিবশে আইসক্রীম তৈরি হচ্ছে। আইসক্রিমের স্বাদ বাড়ানোর জন্য মিশানো হচ্ছে সেগারিন রং বিভিন্ন রকমের ফ্রেভারের ক্ষতিকারক কেমিক্যাল। যা স্বাস্থের জন্য ব্যাপক ক্ষতিকর। অপরিচ্ছন্ন বালতির মধ্যে খালি হাতেই মেশানো হচ্ছে আইসক্রীমের উপকরণ। ঢাকনা দেয়া হয়েছে কাঠ দিয়ে। এমনকি হাউজের ভিতরের পানি অনেক দিন আগের। তৈরিকৃত আইসক্রীম চাঁচ থেকে তুলে ময়লা হাতেই রাখা হচ্ছে অপরিষ্কার পাত্রে। আইসক্রীম তৈরির কারিগরদের জন্য নির্দিষ্ট কোন পোশাক নেই, নেই হাতে হ্যান্ডগ্লাভস। জুতা পায়ে ঘর্মাক্ত শরীরে শ্রমিকরা কাজ করছে সারাবেলা।

ফ্যাক্টরির পরিচালক ফারুক হোসেন আইসক্রিম তৈরির ছাড়পত্র না থাকার কথা স্বীকার করে বনেল, সবাই আইসক্রিম বানাচ্ছে তাই আমিও বানাচ্ছি। সবাই আইসক্রিম বানানো বন্ধ করে দিলে আমিও বন্ধ করে দিব।

কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শফিকুর রহমান বলেন, আগে একবার ঐ কারখানায় মোবাইল কর্টের মাধ্যমে জরিমানাসহ সিলগালা করে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে জেলা ফুড অফিসে মুসুলিকা দিয়ে পুনরায় চালু করেছে।

কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ জহুরুল ইসলাম বলেন, অনুমোদনহীন ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আইসক্রিম তৈরিকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট