তরিকুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার,:
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় নিখোঁজের চার দিন পর অবশেষে মেলে রাজমিস্ত্রি ইমরান হোসেনের (২৭) অ*র্ধগ*লিত ম*রদে*হ। বুধবার সকালে উপজেলার কাজির হাট কলেজের সামনের একটি মৎস্যঘের থেকে পুলিশ ম*রদেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
নিহত ইমরান হোসেন উপজেলার কেরালকাতা গ্রামের ছদর উদ্দীনের ছেলে। পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন তিনি। দুই কন্যা সন্তানের জনক ইমরান ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য। তার মৃত্যুতে স্ত্রী, সন্তান ও মা-বাবা হয়ে পড়েছেন অসহায়।
পরিবার জানায়, ২৪ আগস্ট সকালে ইমরানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রিপন তাকে ফোনে ডেকে নেয়। বের হওয়ার সময় স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে শেষ কথোপকথনে তিনি বলেন, “বাজার থেকে মেয়ের জন্য স্কুল ব্যাগ আর বেদানা নিয়ে ফিরবো।” এরপর থেকেই আর তার কোনো খোঁজ মেলেনি। দুই দিন পর ২৬ আগস্ট পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
ইমরানের মা আমেনা বেগম দাবি করেন, পরিকল্পিতভাবে তার ছেলেকে হ*ত্যা করা হয়েছে। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “রিপন আমার ছেলেকে ডেকে নিয়েছে। এরপর থেকে সে আর ফিরে আসেনি। আমার ছেলেকে হ*ত্যা করা হয়েছে।”
এদিকে স্থানীয়দের দাবি, ঘটনাটি একটি নৃ*শংস হ*ত্যাকাণ্ড। তারা দ্রুত জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাইফুল ইসলাম জানান, “২৪ আগস্ট থেকে ইমরান নিখোঁজ ছিলেন। বুধবার সকালে স্থানীয় গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তার ম*রদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “প্রাথমিকভাবে আমরা মনে করছি এটি হ*ত্যাকাণ্ড। তবে কারা, কী কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে বের করা হবে।”
নিহতের বাড়িতে এখন চলছে শোকের মাতম। পরিবার ও এলাকাবাসী দ্রুত ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও দোষীদের শাস্তি দাবি করেছে।