মিরু হাসান, স্টাফ রিপোর্টার
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার একটি কলাবাগানে উদ্ধার করা পোড়া লাশের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের কাদোয়া বটতলী এলাকার একটি কলাবাগানে তাঁর দগ্ধ লাশটি পাওয়া যায়।
নিহত ব্যক্তির নাম ছামছুর আলী খলিফা (৬০)। তিনি নওগাঁ সদর উপজেলার শৈলগাছী উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার রাতে স্বজনেরা থানায় গিয়ে লাশটি শনাক্ত করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত ছামছুরের ছোট ভাই মুজাহিদ খলিফা এ ঘটনায় বাদী হয়ে ছামছুরের স্ত্রী রাশেদা বেগম ও ছেলে রাসেল খলিফাকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে আরও দুই–তিনজনকে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ছামছুরের সংসারে স্ত্রী ও দুই ছেলে আছেন। বড় ছেলে রাসেল খলিফা বাড়িতে থাকেন। পারিবারিক বিষয় নিয়ে রাসেল ও রাশেদার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ছামছুরের কলহ চলছিল। মা-ছেলে মিলে প্রায়ই ছামছুরকে মারধর করতেন।
১২ জুলাই সকাল ছয়টার দিকে দুই আসামি মিলে ছামছুরকে বেধড়ক লাঠিপেটা করেন। তাঁকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ছামছুর নওগাঁ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। এতে রাসেল ও রাশেদা ক্ষিপ্ত হন। এর আগেও রাসেল তাঁর বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। আর মাকে নানার বাড়িতে পাঠান। গতকাল বেলা ১১টার পর গ্রামে ছামছুরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে রাত সাড়ে এগারোটার পর আক্কেলপুর উপজেলার কাদোয়া বটতলী এলাকার একটি কলাবাগানে ছামছুরের বস্তাবন্দী পোড়া লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর ছামছুরের স্ত্রী রাশেদা ও রাসেল খলিফা আত্মগোপনে চলে যান।
জয়পুরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) জিন্নাহ আল মামুন বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে।##