নূরুল হক, মণিরামপুর প্রতিনিধি:
মণিরামপুরে সোমবার সকালে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে সড়ক দূর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ট্রাক চালক ও হেলপার নিহত হয়। পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। নিহতরা হলো সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার খলশি গ্রামের আইয়ুব খন্দকারের ছেলে ট্রাক চালক রাজু আহমেদ এবং সোনাবাড়িয়া গ্রামের মিন্টু হোসেনের ছেলে হেলপার এরফান হোসেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহে মণিরামপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হলো পাঁচজন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে মাছের খাদ্য বোঝাই ট্রাকটি (ঢাকা মেট্রো ট-১২- ৪৩৩৯) রোববার রাতে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। সোমবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে মণিরামপুর ফিলিং ষ্টেশনের পাশে দাড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রাকের ক্যাবিন দুড়ড়ে মুচড়ে পড়ে। ক্যাবিনের মধ্যেই চালক ও হেলাপারের মৃত্যু হয়। পেছন থেকে ধাক্কা দেওয়ার পর সামনের ট্রাকটি একটি বৈদু্যুতিক লাইনের খুটি ভেঙ্গে সামনের দোকানের ভেতর ঢুকে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুৃলিশ গিয়ে দুমড়ে মুচড়ে পড়া ক্যাবিন কেটে চালক ও হেলপারের মরদেহ উদ্ধার করে। মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচাজর্ (ওসি) বাবলুর রহমান খান জানান, ধারনা করা হচ্ছে চলন্ত অবস্থায় চালকের তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ায় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে এ দূর্ঘটনা হয়েছে। তিনি জানান,পরে রেকারের মাধ্যমে ট্রাক দুুিট উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।
উল্লেখ্য গত সোমবার দুপুর দুইটার দিকে মনিরামপুর সরকারি কলেজের দক্ষিণপাশে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় নিহত হয় ভ্যানযাত্রী মনিরামপুর উপজেলার জয়পুর গ্রামের মৃত আবুল খায়ের দফাদারের ছেলে নাজমুল হোসেন এবং গাইবান্ধা জেলার সাঘাট উপজেলার আব্দুল্লাহপাড়া গ্রামের রাজা মিয়ার ছেলে রতন মিয়া।
মঙ্গলবার বিকেলে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে কাঠ ব্যবসায়ী তারিক হোসেন মোটরসাইকেল চালিয়ে মনিরামপুরে আসার সময় চালকিডাঙ্গা বাজারের পাশে পৌছুলে পিছন থেকে চুকনগরগামী বাস চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নিহত তারিক হোসেন মনিরামপুর পৌরশহরের গাংড়া মোল্যাপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনের বড় ছেলে।
নূরুল হক
মণিরামপুর, যশোর।
মোবাইল-০১৭২১৩৯০২০৮
তারিখ-১৪/০৭/২০২৫ইং।