ঝিকরগাছা প্রতিনিধি শাকিল হোসেন।।
যশোরের ঝিকরগাছায় রফিকুল ইসলাম (ফকির) ৫৫ নামে একজন নিহত ও জহিরুল ইসলাম জহর (৪০)আহত হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের সোনাকুড় গ্রামে। নিহত রফিকুল ইসলাম ফকির (৫৫) পিতা ইসমাইল হোসেন ও আহত জহিরুল ইসলাম জহর (৪০) পিতা আজাহার শেখ দুজনে একই গ্রামের বাসিন্দা।
সরোজমিনে জানাজায়, বুধবার (০২জুলাই) আনুমানিক সকাল ১১টায় জহর(৪০) শ্বশুরবাড়ি থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাঁকড়া বাজারে যাওয়ার পথে সোনাকুড় গ্রামে জহিরের চায়ের দোকানের সামনে পৌঁছালে পিছন দিক থেকে একই গ্রামের রফিকুল ইসলাম ফকির (৫৫) জহিরুল ইসলাম জহর(৪০) কে আক্রমণ করে এবং ফকিরের হাতে থাকা দাঁ দিয়ে মাথায় আঘাত করে,জহরের চিৎকার শুনে স্থানীয় ও দোকানে থাকা লোকজন এসে জহর কে উদ্ধার করে। এবং স্থানীয় লোকজন রফিকুল কে ধরে বেঁধে ফেলে একপর্যায়ে উৎসুক জনতা রফিকুল কে গণপিটুনি দেয় এবং সে মারা যায়। অপরদিকে জহর কে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সার্জারি পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে । জহরের অবস্থাও কিছুটা আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী রেক্সোনা খাতুন বলেন, নিহত রফিকুল ইসলাম ফকির সে মাদকাসক্ত ছিল এবং গ্রামের সবার সাথেই সে খারাপ আচরণ করে আজ সকালে যখন জহর বাজারে যাচ্ছিল সে দেখতে পাই রফিকুল বোতলে প্রসাব করে রাস্তায় ছড়াচ্ছে এবং জহিরের গায়ে ছিটিয়ে দেয় সে নিষেধ করলেন রফিকুলের হাতে থাকা দা দিয়ে জহরকে আঘাত করে।
অপরদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানা শ্রেণী পেশার মানুষ পোস্ট করেছে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি তমিজ উদ্দিনের ছেলে সোহাগ ও তার বন্ধুরা মিলে রফিকুল ফকিরকে মেরে নিহত করেছে।
সরোজমিনে নিহত রফিকুল ইসলাম ফকির এর বাড়িতে পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি এবং কোন অভিযোগ ও করেনি।
ঝিকরগাছা থানার ওসি তদন্ত জনাব আবু সাঈদ বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং নিহত রফিকুল ইসলাম ফকিরের পরিবার এজাহার দায়ের করলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।।