1. nazirhossen6120@gmail.com : দৈনিক লোকবাণী : দৈনিক লোকবাণী
  2. info@www.lokobani.com : দৈনিক লোকবাণী :
বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ০১:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
হিরোশিমা দিবসে – এস ইউ সি আই এর উদ্যোগে, ডোলান্ড ট্রাম্পের কুশপুতুল দাহ কলারোয়ার ভাদিয়ালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক বদরুজ্জামান আর নেই মাধবপুরে অভিনব কৌশলে মাদক পাচারের চেষ্টা ৯০ বোতল ভারতীয় মদসহ আটক ১ পিকআপ জব্দ, মাধবপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ ৪ ডাকাত গ্রেফতার,পলাতক ৫ জয়পুরহাটে পোড়া লাশের পরিচয় মিলেছে, স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে মামলা কেশবপুর থানার এস আইকে প্রকাশ্যে জামায়াত নেতার হুমকিআটকের এক ঘন্টার মধ্যে জামিন লাভ   পাইকগাছার পল্লীতে বাসস চেয়ারম্যানের উদ্যোগে দুই সহস্রাধিক চক্ষু রোগীর চিকিৎসা প্রদান সাতক্ষীরার মাহমুদপুরে পোলট্রি খামারে হামলা, মুরগি লুট ও ভাঙচুরের অভিযোগ পাইকগাছার পল্লীতে বাসস চেয়ারম্যানের উদ্যোগে দুই সহস্রাধিক চক্ষু রোগীর চিকিৎসা প্রদান কলারোয়ার সোনাবাড়ীয়ায় মানব কল্যাণ সংগঠন “এসএইচএস স্টুডেন্ট’স ক্লাবের আত্মপ্রকাশ

এশিয়ার ক্ষুদ্রতম মসজিদ শান্তাহারে: ক্ষুদ্র হলেও প্রত্ন নিদর্শন

মিরু হাসান বাপ্পি (বগুড়া সংবাদদাতা)
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫
  • ১০৬ বার পড়া হয়েছে

মিরু হাসান, স্টাফ রিপোর্টার 

কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বগুড়ার দুটি প্রাচীন ও ছোট মসজিদ। ইতিহাসের এই নিদর্শন দুটি আজ অনেকটাই পরিত্যক্ত। সেখান থেকে আর মুয়াজ্জিনের আজান শোনা যায় না। মসজিদ দুটিতে সর্বশেষ নামাজ পড়া হয়েছে প্রায় দেড়শ বছর আগে। ধারণা করা হয়, ১৭৭০ থেকে ১৭৯০ সালের মধ্যে মসজিদ দুটি নির্মিত হয়েছিল।

স্থানীয়দের দাবি, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর এলাকার তারাপুর ও মালশন গ্রামের এ দুটি স্থাপনা এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে ছোট মসজিদ। তারাপুর গ্রামে সরেজমিন দেখা যায়, মসজিদে সামান্য উঁচু একটি গম্বুজ রয়েছে। গম্বুজের ওপর আছে একটি মিনার। দেড় ফুট পুরুত্বের দেয়ালে ব্যবহৃত ইটগুলো আকারে খুব ছোট। মসজিদের দরজায় দুটি সুন্দর খিলান আছে। আছে মিম্বর এবং মেহরাব। চুন-সুরকি দিয়ে তৈরি স্থাপনাটি এতটাই পুরোনো যে, প্রথমে দেখে এটি মসজিদ মনে বলে হয় না।

জমিদারি প্রথার সময় আদমদীঘির এ অঞ্চল বিভিন্ন জমিদারের শাসনাধীন ছিল। সে সময় নাটোরের রানী ভবানীর জমিদারি ছিল প্রায় ১২ হাজার ৯৯৯ বর্গমাইলজুড়ে, যার মধ্যে আদমদীঘির বিভিন্ন এলাকা অন্তর্ভুক্ত ছিল। রানী ভবানীর বাবার বাড়িও আদমদীঘির ছাতিয়ান গ্রামে।

কথিত আছে, তারাপুর গ্রামে তারাবানু নামে একজন মুসলিম নারী বাস করতেন। হিন্দুপ্রধান এলাকা হওয়ার কারণে ওই নারীর ইবাদত-বন্দেগিতে অসুবিধা হতো। তিনি একটি মসজিদ নির্মাণের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু স্থানীয় সমাজপতিরা তাতে রাজি হননি। পরে রানী ভবানীর কাছে আবেদন করা হয়। রানী ভবানী তখন ছাতিয়ান গ্রামে বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। তার উদ্যোগেই পরে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়।

ক্ষুদ্র এই মসজিদটি প্রস্থে ৯ ফুট, উচ্চতা মিনারসহ ১২ ফুট। মিনারটির ঘের ২৭ ফুট। মসজিদটির মেহরাব এতই ক্ষুদ্র যে, ভেতরে না গেলে চোখে পড়ে না। এর মেহরাবের উচ্চতা সাড়ে ৩ ফুট, প্রস্থ দেড় ফুট। এ ছাড়া দরজার উচ্চতা সাড়ে ৬ ফুট এবং প্রস্থ আড়াই ফুট। সর্বোচ্চ তিনজন এ মসজিদে নামাজ পড়তে পারেন।

মসজিদের এই স্থানটির বর্তমান মালিক ষাটোর্ধ্ব জয়েনুল উদ্দিন প্রামাণিক বলেন, আমার বাবা-দাদাও বলতে পারেননি এই মসজিদ কত পুরোনো। ধারণা করা হয়, মসজিদটির বয়স ৩০০ বছর পেরিয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মসজিদটির সামান্য সংস্কার করেছি। সরকারের এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

অন্যদিকে তারাপুরের এই মসজিদের মতো আরেকটি মসজিদ রয়েছে পাশের মালশন গ্রামে। এর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা তারাপুর গ্রামের মসজিদের চেয়ে একটু বড়। নির্মাণশৈলী একই ধরনের। এই মসজিদটি সম্পর্কেও সঠিক ইতিহাস জানা যায় না। এখানে একসঙ্গে পাঁচজন নামাজ আদায় করতে পারেন। এই মসজিদের স্থানটির বর্তমান মালিক আমজাদ হোসেন (৭০) বলেন, আমি দাদার কাছে শুনেছি এই মসজিদটির বয়স ৩০০ বছরের বেশি। মসজিদের অবস্থা খুব জরাজীর্ণ।

মসজিদ দুটি কত আগে তৈরি হয়েছিল, কে তৈরি করেছিলেন, কেন এত ছোট ছিল, এসব বিষয়ের সঠিক ইতিহাস আড়ালে থাকলেও ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে এ দুটি অনেক গুরুত্ব বহন করে। কিন্তু প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এদিকে কোনো নজর দেয়নি কখনো। ভ্রমণপিপাসু ও ইতিহাস অনুসন্ধিৎসু শত শত দর্শনার্থী প্রতিদিন মসজিদ দুটি দেখতে ওই দুই গ্রামে যান। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ মসজিদ দুটির তদারক না করলে যে কোনো সময় নষ্ট হতে পারে প্রাচীন এই স্থাপত্য।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট