সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা ,পশ্চিমবঙ্গ
আজ ১২ই জুন বৃহস্পতিবার, ঠিক দুপুর আড়াইটা নাগাদ, হঠাৎ কালো অন্ধকার করে মুষলধারে নেমে এলো বৃষ্টি, চারিদিকে অন্ধকার, অন্ধকার ওরে বৃষ্টি হওয়ার ফলে ফলে সমস্ত গাড়িচালকরা হেড লাইট জ্বালাতে বাধ্য হয়। বৃষ্টির মধ্যেও সাধারণ মানুষের পারাপার হতেও অসুবিধে হয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার ভয় ছিল।
কয়েকদিন যাবৎ প্রচন্ড গরমে সাধারণ মানুষের অবস্থা কঠিন হয়ে উঠেছিল, তাই বেরোনো দুর্দায় হয়ে পড়েছিল, বেলা ১১ টার পরে সাধারণ মানুষ রাস্তায় বেরোতে পারছিল না, রাস্তাঘাট ও দোকানপাট প্রায় শুনশান, সারাদিন দোকানদারদের বেচাকেনা বন্ধ হওয়ার মুখে, আজব বেলা আড়াইটা পর্যন্ত একইভাবে গরমে মানুষের অবস্থা খারাপ হয়ে পড়েছিল। কিন্তু কোনরকম মেঘাচ্ছন্ন না হয়েও, দুপুর আড়াইটা নাগাদ, হঠাৎ করে কালো মেঘ জমে মুষলধারে বৃষ্টি নামে, বৃষ্টির ফলে যাত্রীরা এদিক-ওদিক ছুটতে শুরু করে এমনকি মেট্রো স্টেশন এর মুখে ভিড় জমাতে থাকে। অনেকে গাড়ি ধরার জন্য স্ট্যান্ডে অপেক্ষা করছিলেন, কিন্তু বৃষ্টি হওয়ার ফলে তাহাদের কেউ অপেক্ষা করতে হয় এবং ছোটাছুটি করতেও দেখা যায়।
তবে বৃষ্টির ফলে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও, পরমুহূর্তে আরো গুমোট গরম দেখা দেয়, সাধারণ মানুষের শরীরে অস্বস্তি আরো বাড়ে। সাধারণ মানুষেরা বলেন, সমস্ত জায়গায় বৃষ্টি না হওয়ার ফলে গরমের চাপটা আরো বেশি হয়, বৃষ্টিটা যেখানে সেখানে হচ্ছে, এবং বেশি বৃষ্টি না হওয়ার ফলে নিচে থেকে তাপমাত্রা আরও বেশি উঠতে শুরু করেছে। এমন কি গরমের ফলে বাসে যাত্রীসংখ্যাও অনেক কমে গেছে, কোন বাসে ১০ থেকে ১২ জন যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। শুধু তাই নয়, ওলা, উবের এবং স্কুটির ড্রাইভারেরা সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে, প্যাসেঞ্জার না পাওয়ায়, তাহারা বলেন গরমে প্যাসেঞ্জারের সংখ্যা কমে যাওয়ায়, আমাদের অবস্থা খুব খারাপ, দুপুরে খাওয়ার পয়সা উঠে না। তবুও আমাদেরকে জনসাধারণের সেবা দিতে হবে। বৃষ্টির মধ্যে প্রশাসনের অফিসারেরা ব্যস্ততম রাস্তা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন।