গৌরাঙ্গ বিশ্বাস বিশেষ প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের মধুপুরে দায়ের করা একটি প্রতারণার মামলাকে কেন্দ্র করে বাদীর স্বামীকে হয়রানি করতে মিথ্যা কাউন্টার মামলা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে আসামিপাক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদীর স্বামী কালিহাতী থানায় সাইবার ক্রাইম আইনে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সুমি আক্তার (৩০), পিতা—মো. সোহরাব আলী, সাকিন—আলোকদিয়া, পোঃ লাউফুলা, থানা মধুপুর, জেলা টাঙ্গাইল—বাদী হয়ে সি.আর ৬৬৯/২০২৪ নং মামলাটি ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মধুপুর থানা আমলী আদালতে দায়ের করেন। মামলায় বিবাদী হিসেবে নাম উল্লেখ করা হয় মোস্তাফিজুর রহমান (৩৪), পিতা—মো. মজিবর রহমান, সাং—গোরাঙ্গী, পোঃ কালোহা, থানা—ঘাটাইল, জেলা—টাঙ্গাইল।
মামলাটি আদালত তদন্তের জন্য মধুপুর থানায় প্রেরণ করলে ওসি তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তী তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আদালত আসামি মোস্তাফিজুর রহমানকে সমন জারি করেন।
কিন্তু সমন জারির পরই পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নেয়।
অভিযোগ রয়েছে—মামলা থেকে বাঁচতে এবং বাদীপক্ষকে চাপে রাখতে আসামি মোস্তাফিজুর রহমান ও তার সহযোগীরা বাদী সুমি আক্তারের স্বামী মো. আশিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাউন্টার মামলা দায়ের করে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করেন তারা।
ভুক্তভোগী আশিক জানান,
“আমার স্ত্রী যে প্রতারণার মামলা দায়ের করেছেন, সেই মামলার প্রধান আসামি মোস্তাফিজুর। আমি ওই মামলার ১ নম্বর সাক্ষী হওয়ায় আমাকে টার্গেট করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে তারা।”
তিনি আরও জানান, অপপ্রচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে তিনি প্রয়োজনীয় প্রমাণসহ কালিহাতী থানায় সাইবার ক্রাইম আইনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন অনিয়ম ও প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে পুলিশ বিভাগ নিশ্চিতভাবে কিছু জানায়নি।
আইনজীবীরা বলছেন—
একটি মামলার তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে কাউন্টার মামলা বা সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার করা আইনগতভাবে দণ্ডনীয় অপরাধ। আদালত সমন জারি করার পর আসামির এমন আচরণ বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা বলেও তারা উল্লেখ করেন।
মধুপুর থানা ও কালিহাতী থানার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে এবং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গৌরাঙ্গ বিশ্বাস বিশেষ প্রতিনিধিঃ
০১৭১২৭২০৭৮৭