
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালান্দর ইউনিয়নের ইয়াকুবপুর কনপাড়া গ্রামে এক পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ তুলে শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে জেলা শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ কৌশলা রানী রায়।
সংবাদ সম্মেলনে কৌশলা রানী জানান, চলতি বছরের ৫ অক্টোবর সদর থানায় রায়পুর ইউনিয়নের বাসিন্দা সুবাস চন্দ্রের মেয়ে বেলী রাণী একটি ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় অটল রায় ও মোহনী রায়কে অভিযুক্ত করা হয়। তিনি অভিযোগ করেন, একের পর এক সাজানো মামলায় তার স্বামী অটল রায় ও শ্বশুর মোহনী রায়কে ফাঁসানো হয়েছে। এ কারণে তারা বর্তমানে বাড়িছাড়া হয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
তিনি বলেন, প্রায় এক বছর আগে তার দেবর জীবন চন্দ্র রায়ের সঙ্গে বেলী রাণীর প্রেমঘটিত বিষয়ে বিরোধ তৈরি হয়। সেই সম্পর্কের জের ধরেই বেলী রাণী আদালতে একটি মামলা করেন, যা এখনো বিচারাধীন। কিন্তু ওই মামলায় নিজের স্বার্থ হাসিল না করতে পেরে বেলী রাণী নতুন কৌশলে তার স্বামী ও শ্বশুরকে জড়িয়েছেন বলে দাবি করেন কৌশলা রানী।
তার ভাষ্য, একজনের সঙ্গে বিরোধ থাকলে তার বিচার আদালত করবে। কিন্তু আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় হঠাৎ করে স্বামী-শ্বশুরকে নতুন করে জড়ানো সম্পূর্ণ অন্যায়। আমরা কৃষক পরিবার, সংসারের একমাত্র ভরসা আমার স্বামী ও শ্বশুর। মিথ্যা মামলায় তারা আজ পলাতক, আমরা দিশেহারা।
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, “যদি দেবর জীবন চন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, তাহলে আদালত তার বিচার করছে। কিন্তু সেই মামলার সুযোগে পুরো পরিবারকে কেন টার্গেট করা হচ্ছে?”
কৌশলা রানীর অভিযোগ, ব্যক্তিগত স্বার্থ ও অর্থের লোভে বেলী রাণী একের পর এক হয়রানিমূলক মামলা করছেন, যা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। এ অবস্থায় তিনি জেলা পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের কাছে মামলাটি নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান। একই সঙ্গে স্বামী অটল রায় ও শ্বশুর মোহনী রায়কে মুক্তি দেওয়া এবং মিথ্যা মামলা করায় বেলী রাণীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।