
পলাশবাড়ী(গাইবান্ধা) প্রতিনিধি :
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে দেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার ৫৩ ফুট শ্রীকৃষ্ণ বিগ্রহের প্রতিস্থাপন ও আন্তর্জাতিক গীতা মহোৎসব–২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের মধ্যরামচন্দ্রপুর (বৃন্দাবনপাড়া) গ্রামের শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ ও কালী মন্দির চত্বরে আয়োজনটি পরিণত হয় এক বিরল আধ্যাত্মিক মিলনমেলায়।
মূল অনুষ্ঠানে ভারত সরকারের রাজশাহীস্থ সহকারী হাই কমিশনার শ্রী মনোজ কুমার ও তার স্ত্রী রোসি কুমার পূজামন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে ৫৩ ফুট উচ্চতার শ্রীকৃষ্ণ বিগ্রহের শুভ উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর তিনি স্বস্ত্রীক আন্তর্জাতিক গীতা মহোৎসব মঞ্চে যোগ দেন এবং মানবধর্ম, শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধের ওপর তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই গীতা পাঠ করেন ফরিদপুর থেকে আগত গোপীনাথ দাস ব্রহ্মচারী। আধ্যাত্মিক বাণীতে পুরো পরিবেশ যখন সুরভিত, ঠিক তখনই অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেন মন্দির প্রতিষ্ঠাতা শ্রী হরিদাস বাবু ও মন্দির কমিটির সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সভাপতি ও গাইবান্ধা-৩ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মইনুল হাসান সাদিক, পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ জুলফিকার আলী ভুট্টোসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মন্দিরটিকে ঘিরে বর্তমানে চলছে দেশের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন আধ্যাত্মিক কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ। এখানে ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ আদিযোগী শিবমূর্তি, আর তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ৫৩ ফুট উচ্চতার শ্রীকৃষ্ণ বিগ্রহ। পাশাপাশি মন্দির প্রাঙ্গণে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ১৪৪টি দেব-দেবীর প্রতিমা স্থাপনের কাজও এগিয়ে চলছে দ্রুতগতিতে।
অদ্ভুত নান্দনিক স্থাপত্যশৈলী, শান্ত-নিরিবিলি পরিবেশ আর ভক্তির আবহে ঘেরা এই মন্দির এখন শুধু পলাশবাড়ীর নয়—গাইবান্ধা ও উত্তরাঞ্চলের অন্যতম আধ্যাত্মিক আকর্ষণ। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অসংখ্য সনাতনী ভক্ত ও সাধারণ দর্শনার্থী এখানে প্রার্থনা ও দর্শনে আসছেন। স্থানীয়দের ভাষায়—“মন্দিরটি এখন আমাদের এলাকার গর্ব।”