
হাসিবুর রহমান স্বপন, পলাশবাড়ী(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃ– গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে টোংড়াদহ এর পশ্চিমে কিশোরগাড়ী গড়পাড়া কাছারী দিঘি হতে আব্দুল কাদের সরকারের বাড়ি পর্যন্ত করতোয়া বন্যা নিয়ন্ত্রন বেড়ি বাঁধ,বসতবাড়ি,
মোক্তব,মসজিদ,আবাদী কৃষি জমি, নদী গর্ভে বিলীন।সংস্কার অভাবে চরম দূভোর্গসহ দিশেহারা হয়ে পড়েছে ওই এলাকার অন্তত ৪ শতাধিক বাসিন্দা।এলাকাবাসীর দাবী বেড়িবাঁধটির ভেঙে যাওয়া স্থানসমূহ সংস্কার মাধ্যমে ব্লক নির্মাণের ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,গাইবান্ধার পাউবোর অধীনে পলাশবাড়ী উপজেলার ত্রিমহনী আমবাগান বাঁধ হতে টোংড়াদহ পর্যন্ত করতোয়া বন্যা নিয়ন্ত্রন বেরিবাঁধ প্রায় ৩৭ বছর পূর্বে নিমার্ণ করা হয়।বাঁধটি নিমার্ণের দীর্ঘ প্রায় ৩ যুগ সময় অতিবাহিত হলেও বাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ সংস্কার অভাবে পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের টোংড়াদহের পশ্চিমে কিশোরগাড়ী গড়পাড়া কাছারী দিঘি হতে আব্দুল কাদের সরকারের বাড়ি পর্যন্ত ৪শ’মিটার বাঁধ,বসতবাড়ি,মোক্তব,আবাদী কৃষি জমি ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন গেছে।প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে নদীর পানির প্রবল গতিতে নদী পাড়ের বসতবাড়ি,আবাদী কৃষি জমি রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।ওই গ্রামের ঘরবাড়ি,আবাদী কৃষি জমি একের পর এক নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে নদী পাড়ে বসবাস
কারী বাসিন্ধা এ পর্যন্ত অন্তত ১শ’ পরিবারের বসতবাড়ি,আবাদী কৃষি জমি নদী গর্ভে চলে গেছে।
করতোয়া বন্যা নিয়ন্ত্রন এই বেরিবাঁধটি প্রায় ৩৭ বছর পূর্বে নিমার্ণ করা হলেও মেরামত অভাবে বাঁধটি নদী গর্ভে যাওয়ার সাথে সাথে ঘরবাড়ি, আবাদী কৃষি জমি প্রতিবছর চলে যাচ্ছে নদী গর্ভে।এতে আশপাশের বসবাসকারী পরিবারগুলো সঙ্কায় রয়েছেন ঘরবাড়ি ও কৃষি জমি ভাঙনের।দীর্ঘ কয়েক বছরেও নেওয়া হয়নি বাঁধটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ।বর্ষা মৌসুম এলেই শুরু হয় ভাঙন।ভাঙনের ফলে বাঁধের ভেঙে যাওয়া ওই অংশ দিয়ে নদীর পানি ইউনিয়নের তেকানি,
কিশোরগাড়ী,চকবালা,নলডাঙা,বড় শিমুলতলা,কাশিয়াবাড়ী,পশ্চিম মিজার্পুর,
প্রজাপাড়া,সুলতানপুর বাড়াইপাড়া,
সগুনা,জাফর,মুংলিশপুর,গনকপাড়া,
হাসানখোর,পশ্চিম রামচন্দ্রপুর,জাইতর,
কেশবপুরসহ ১৫-১৬টি গ্রামে কৃষি জমি,বীজতলা তলিয়ে প্রায় কয়েক কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকার ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি গুনতে হয় কৃষকদের।এছাড়া ওই গ্রামে চলাচলের বিকল্প আর কোন রাস্তাও নেই।পায়ে হেয়ে চলাচল করতে হয় আড়াই শ”টি পরিবারের বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষকে।
বাঁধ ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় বসতবাড়ির ভিটামাটি ছাড়তে হয়েছে কিশোরগাড়ী গ্রামের বাসিন্ধা তারা হলেন,
শফিউল ইসলাম,জব্বার মিয়া,শাহারুল ইসলাম,এরশাদ মিয়া,নান্নু মিয়া,মোকছেদ আলী,মনছুর আলী,আশাদুল,আফজাল হোসেন,ফরিদুল,হযরত,বাবু মিয়া,
হাফিজার রহমান,নাজমুল,জলিল,মাফু মিয়া,সরাব আলী,হারুন,সোনাভান,
জামিরুল,হামিদুল,লালমিয়া,ছাত্তার,
উপেন,গোপাল,উত্তম,গউর,সতিশ,সুধীর
সহ আরও অনেককে।এছাড়াও বাঁধের সংলগ্ন বসবাসকারী বসতবাড়ির ভিটামাটি হারিয়ে অনেক পরিবার ঢাকা,
পাবনা,ঘোড়াঘাট,কামদিয়া,রাজাবিরাট,
চতরা,কাশিয়াবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বসবাস করছেন।
কিশোরগাড়ী গ্রামের বাসিন্দা আল মামুন,
মাসুদ মিয়া,আব্দুল কাদের সরকার,
আব্দুস সালাম,সমাজসেবক সাজু প্রামানিক,অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল জলিল জানান,বাঁধটি ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। গ্রামের বসবাসকারী পরিবারের ভিটামাটিও নদী গর্ভে যাওয়ায় ভিটামাটি ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছে।বাঁধটি নিমাণ ৩৫ বছরের বেশি হবে কিন্তু এতো বছরেও বাঁধটি মেরামত অভাবে অনেকের বসতবাড়ির ভিটামাটি ভেঙে নদী গর্ভে যাওয়ার দুঃশ্চিন্তায় আছেন।গ্রামবাসি সকলের দাবী ভাঙনের কবল থেকে এ গ্রামকে রক্ষার্থে বাঁধ সংস্কারের মাধ্যমে ব্লক নির্মাণের।
পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জাবের আহমেদ জানান,সরেজমিনে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।