
সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কোলকাতা সংবাদদাতা
আজ ২৪ শে নভেম্বর সোমবার, দুপুর ১২ টায়, এস এল এস টিএ নতুন চাকরি প্রার্থীরা, শিয়ালদা স্টেশনে জমায়েত হয়ে যখন মিছিল করে শান্তিপূর্ণ ও ন্যায় বিচারের দাবী দাবি জানিয়ে স্লোগানের মধ্য দিয়ে এস এন ব্যানার্জি রোড ধরে ধর্মতলা ডরিনা ক্রসিং এ পৌঁছান, এবং তারা ধর্মতলা ডরিনা ক্রসিং ঘেরে বসে পড়েন, সমস্ত দিকের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, তারা তাদের দাবী জানাতে থাকে শান্তিপূর্ণভাবে, ন্যায় বিচারের আশায় ও তাদের চাকুরীর জন্য, এমনকি তারা বলেন আমরা দশ বছর ধরে আন্দোলন করে আসছি যোগ্যদের চাকুরী দেওয়ার জন্য, সরকার আমাদের কোনরকম ভাবে সহযোগিতার হাত বাড়াচ্ছেন না, তাই আমরা বাধ্য হয়েছি আজ এইখানে আন্দোলন করতে, এমনকি যতক্ষণ না শিক্ষামন্ত্রী আমাদের সাথে দেখা করেন আমরা এই আন্দোলন চালাবো। আমরা প্রশাসনের কাছেও অনুরোধ করেছি আমাদের সাথে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর জন্য, প্রশাসনকে একটা কথাই বলবো মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী যতক্ষণ না আমাদের চাকুরীর ব্যবস্থা না করেন আমরা এই ডরিনা ক্রসিং ঘেরে বসে থাকবো। আমরা ন্যায় বিচার চাই চাইছি। প্রশাসন চাকুরী প্রার্থীদের সাথে আলোচনা করলেও তারা তাদের কথা, কর্ণপাত করেননি।
তাহারা জানান এক লক্ষ শূন্য পদ রয়েছে, আবে কেন আমরা রাস্তায়, আমাদের মৌলিক অধিকারের 16 নম্বর ধারা অনুযায়ী আমাদের সমস্ত অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে, আমরা চাই শিক্ষামন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সাথে কথা বলুক এবং সরাসরি আলোচনা করুক।, আর আমাদের যোগ্যদের চাকরি ব্যবস্থা করুক। দাবিকে সামনে রেখেই আজকের এই আন্দোলন। একটাই দাবী আজকেই আমাদের দাবী মানতে হবে।
সকলে বিএড পরীক্ষার বই হাতে নিয়ে আন্দোলন করতে থাকেন এবং একটাই স্লোগান উই ওয়ান্ট জাস্টিস, রাজ্যে কমিশনার কমিশন কে ধিক্কার জানাতে থাকেন,
বেশ কিছুক্ষণ আলোচনার পর যখন তারা শিক্ষা মন্ত্রী না আসা পর্যন্ত পথ অবরোধ করে রাখবেন এবং যান চলাচল বন্ধ রাখবেন, ঠিক সেই সময় হঠাৎ করেই শুরু হয়ে যায় চাকুরী প্রার্থীদের ধরপাকড়, বেশ কিছুকে গ্রেপ্তার করে গাড়ির মধ্যে তুলতে থাকেন, প্রায় একশোরও বেশি চাকরি পেট থেকে গ্রেফতার করেন, এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে চাকুরী প্রার্থীরা, তাহারা বলেন কত গ্রেফতার করবে , এখনো পর্যন্ত তিন লক্ষ মানুষ বেকার, তাই আমরা ভয় পাই না, আমাদের কি আজকে গ্রেফতার করবে? কালকে আবার আমরা আন্দোলন করবো।, দেখব প্রশাসন আমাদেরকে কিভাবে রুখে, আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকারের দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি। তাহার আরো জানান ৭০ নম্বরের পরীক্ষা যেখানে আমরা ৭০ এ ৭০, দেখা গেছে এমনও যে ৭০ নম্বরের পরীক্ষায় ৭৭ পেয়েছে। কি করে এটা হতে পারে, এর সাথে সাথে তারা বলেন, চাকরি চোরেরা জামিন পাচ্ছে আর আমাদের মত শিক্ষিত বেকাররা রাস্তায় বসে আছে, শিক্ষামন্ত্রী ও সরকার অযোগ্যদের চাকরি দিচ্ছে, এর থেকে বড় লজ্জা কিসের, আজ স্কুলে স্কুলে শিক্ষক নাই, সমস্ত জায়গায় শূন্য পদ পড়ে আছে, আর আমরা ন্যায়ের বিচার চাইছি, পুলিশ আমাদের উপর অত্যাচার করছে, আমরাও যতক্ষণ না ন্যায় বিচার পাব আমাদের চাকরি পাব দেখতে চাই কত অত্যাচার করতে পারে আমাদের উপর। ধর্মতলা চত্বর বেশ কিছুক্ষণের জন্য অপরিদ্ধ হয়ে পড়ে।
রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ