
জুলফিকার আলী কলারোয়া সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: কলারোয়ায় নার্সারী মালিক মাওলানা আইয়ুব হোসাইন বারোমাসি কুল চাষ করে প্রথম বছরেই ব্যাপক সফলতার মুখ দেখছেন। পরীক্ষামূলকভাবে ২বিঘা জমিতে এই চাষ শুরু করেই তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে কম খরচে সফলতা অর্জন করা যায়। মাওলানা আইয়ুব হোসাইন জানান, বছরের শুরুতে তিনি ২৮০টি বারোমাসি কুল গাছের কলম রোপণ করেন। নিজের জমিতে কলম রোপন করতে ১লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে এই কুল বাজারে কেজি প্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বছরে তিনবার ফল দেবে এই গাছগুলো। তিনি আশা করছেন, প্রথম বছরেই ৬লাখ টাকার কুল বিক্রি করতে পারবেন। ২লাখ টাকার কুল বিক্রয় হয়েছে। আরো ৪লাখ টাকার কুল বিক্রয় হবে বলে তিনি আশাবাদী। এই অসময়ে সুস্বাদু কুল পেয়ে ক্রেতারা যেমন খুশি, তেমনি কুলের চাহিদা দেখে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অনেক তরুণ উদ্যোক্তাও। প্রতিদিনই কেউ না তার কুল বাগান দেখতে আসছেন। কুল বাগান দেখতে এসে দেখে অভিভূত হয়েছেন কলারোয়ার যুবক আলম হোসেন। তিনি বলেন, অসময়ে এত সুন্দর কুল দেখে তিনি অবাক। কুল খেতে মিষ্টি ও টক। স্বাদে অতুলনীয়। কলারোয়ার রঘুনাথপুর এর মেসার্স হাইব্রীড নার্সারী এন্ড ফ্রুটের প্রোপ্রাইটর মাওলানা আইয়ুব হোসাইন বলেন-তিনি প্রথমে কলারোয়ায় হাইব্রীড জাতের বাউ কুল, থাই আপেল কুল, হাইব্রীড টক মিষ্টি কুল, বল সুন্দরীসহ বিভিন্ন প্রজাতীর কুল চাষ শুরু করেন। তার কাছ থেকে এলাকার চাষীরা কলম ও চারা নিয়ে এখন কলারোয়া উপজেলা জুড়ে চাষ শুরু হয়েছে। চাষীরা ব্যাপক ভাবে লাভবান হচ্ছে। ঝুকছে কুল চাষে। বর্তমানে তিনি বারোমাসি কুল চাষ করেছেন। সাথে কলম ও চারা বিক্রয় শুরু করছেন। এছাড়াও তার নার্সারীতে কুল, আম, ফলজ বৃক্ষের কলমও বিক্রয় করছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম এনামুল ইসলাম বলেন, কলারোয়ার মাটি খুবই উর্বর, যেন সোনার চেয়ে খাটি। বারোমাসি কুল চাষ এখানকার সম্ভাবনাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।