পাবনা প্রতিনিধি: মো. রাজিব
খান
পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় সাত মাস বয়সী সাব্বির নামে এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যেই শিশুটি মারা যায়। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, শিশুটি নিউমোনিয়া ও হৃদযন্ত্রে ছিদ্র (হার্ট হোল) জনিত জটিলতায় মারা গেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার সোনাতলা গ্রামের রনি মোল্লা তার সন্তান সাব্বিরকে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় দুপুরে ভর্তি করেন। শিশু বিশেষজ্ঞ সহকারী অধ্যাপক ডা. পরিমল পান্ডে শিশুটিকে দেখে দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্সকে ইনজেকশন পুশ করতে বলেন। ইনজেকশন প্রয়োগের কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটির অবস্থার অবনতি ঘটে এবং পরে সে মারা যায়।
এ বিষয়ে ডা. পরিমল পান্ডে বলেন, “শিশুটি নিউমোনিয়া ও হার্টে ছিদ্র নিয়ে ভর্তি হয়েছিল। এটি ভুল চিকিৎসার ঘটনা নয়।”
তবে মৃত শিশুর স্বজনদের দাবি, হাসপাতালে ভর্তি করার পর তিন ঘণ্টা পার হলেও চিকিৎসা শুরু করা হয়নি। সময়মতো চিকিৎসা পেলে শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব ছিল বলে তাদের অভিযোগ।
শিশুটির মা অভিযোগ করে বলেন, “ওয়ার্ড থেকে কয়েকটি পরীক্ষা করানো হয়। রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি রিপোর্ট না দেখেই ইনজেকশন দেন। গরু বিক্রি করে ছেলের চিকিৎসা করাতে এনেছিলাম, কিন্তু ভুল চিকিৎসায় আমার সন্তানকে হারালাম। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।”
শিশুর বাবা রনি মোল্লা জানান, “সুস্থ সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলাম। পথে বাচ্চা দুধ খেয়েছে, হাসছিল। কিন্তু সামান্য ঠাণ্ডার চিকিৎসা করতে এসে ছেলেকে হারালাম। এখন উল্টো চিকিৎসক ও নার্সরা আমাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন, যেন আমরা এ নিয়ে কথা না বলি।”
এদিকে এ বিষয়ে জানতে হাসপাতালের পরিচালক ডা. রফিকুল হাসান রিমনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।
স্থানীয়রা বলছেন, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন মর্মান্তিক ঘটনা আর না ঘটে।