সেলিম খান নিজস্ব সংবাদদাতা :
শরীয়াতপুর সদর পালং মডেল থানা আওয়ামীলীগের আশ্রয়স্তল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি হিলাল উদ্দিন। আওয়ামীলীগের রক্ষক হিসাবে আওয়ামীলীগ সত্রাসীদের ধরে এনে আবার ছেড়ে দেন । দৈনিক লোকবানীর প্রতিনিধির হাতে পালং মডেল থানায় বিষয়ে এমনি কিছু তথ্য প্রমাণ এসেছে । তথ্য সূত্রে জানাযায় ৭ তরিখ দিবাগত রাত ৩ টায় নেয়ামত পুর গ্রাম থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে আওয়ামীলীগের জহিরুল,সুমন,সবুজ ,মান্নান ভুইয়া,ইমরান ভুইয়া সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে পালং মডেল থানায় নিয়ে আসে । স্থানীয়রা জানান তারা সবাই আওয়ামীলীগের নেতা আনোয়ার হাওলাদারের সন্ত্রাসী বাহিনী।
কিন্তু অদৃশ্য কোন কারনে অস্ত্র সহ আটক আওয়ামীলীগ ৬ নেতাকে আদালতে না পাঠিয়ে সম্মানের সাথে তাদের ছেড়ে দেয় থানার অফিসার ইনর্চাজ হেলাল উদ্দিন।
স্থানিয় জনগণ এবিষয়ে থানার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন আমরা দীর্ঘ ১৬ বছর যাদের কাছে মানুষ জিম্মি ছিলো সেই তারা আজ অস্ত্রসহ আটক হলেও থানা তাদের ছেড়ে দিয়ে এলাকার নিরাপত্তা ঝুকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে । নাম প্রকাশে অইচ্চুক একাদীক মানুষ মনে করেন এর জন্য থানার অফিসার নিয়েছেন একাধীক টাকা ।
শরীয়তপুর সদর পালং মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ হেলাল উদ্দিন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আওমিলীগ ধরে ছেড়ে দেওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না।
যাদেরকে ধরা হয়েছিল তারা পারিবারিক জমি নিয়ে মারামারি প্রস্তুতিকালে তাদেরকে থানা পুলিশ ধরে নিয়ে আসে, পরবর্তীতে শরীয়তপুর জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি সদর উপজেলা সভাপতি সিরাজ মোল্লা এবং সাবেক শরীয়তপুর জেলা যুবদলের ১ নাং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিক মোল্লা এরা দুইজন স্বাক্ষর করে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছেন বলে ওসি দাবি করেন।আওয়ামী লীগ নেতাকে বাঁচাতে বিএনপির ওসি একত্র হয়ে কাজ করছে , সিরাজ মোল্লা এবং আতিক মোল্লা বিএনপির পদকে ব্যাবহার করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাদেরকে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছেন বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন, এবং স্থানীয়রা শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপার ও বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতাদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
জেলায় এমন কাজ করতে থাকলে বিএনপি ও পুলিশের প্রতি মানুষ বিশ্বাস ও আস্তা হারাবে।