1. nazirhossen6120@gmail.com : দৈনিক লোকবাণী : দৈনিক লোকবাণী
  2. info@www.lokobani.com : দৈনিক লোকবাণী :
মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বগুড়ায় খেঁজুরের কাঁচা রস পানে প্রাণ গেল ৬ বছরের মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর দেবহাটায় শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষ্যে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও আলোচনা সভা বগুড়ায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বশীল পুলিশ কর্তারা পুরস্কৃত!! গোবিন্দগঞ্জ–বিরামপুর মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু বগুড়ায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বশীল পুলিশ কর্তারা পুরস্কৃত!! সাতক্ষীরায় জামায়াতের পথসভায় অংশ নিয়ে বরখাস্ত যশোরের পুলিশ সদস্য মহিবুল্লাহ সাতক্ষীরার তলুইগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকেরর বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ টাঙ্গাইলে প্রতারণার মামলার পর বাদীর স্বামীকে লক্ষ্য করে মিথ্যা কাউন্টার মামলা ও অপপ্রচার: সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ হাদী ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিরামপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল বগুড়ায় ট্রাক ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১ ও আহত ৩

বিরামপুরে বাল্যবিবাহ—পুলিশের উপস্থিতিতেই ঘটল ঘটনা,প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

প্রতিনিধির নাম :
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৩৮ বার পড়া হয়েছে

এমডি রেজওয়ান আলী বিরামপুর ( দিনাজপুর) প্রতিনিধি-দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের কাটলা বাজার মাছ হাটি সংলগ্ন এলাকায় এক নবম শ্রেণীর ছাত্রীর বাল্যবিবাহের ঘটনার সূত্রপাত। এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। (২৫ সেপ্টেম্বর-২৫) বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ০৭:৩০ ঘটিকায় বাল্যবিবাহের ঘটনা। বিয়ের কনের নাম মারুনা (নবম শ্রেণীর ছাত্রী),পিতা মৃত মাসুদুল ইসলাম, কাটলা বাজার। বর রাব্বি ওরফে সৈকত,পিতা মোঃ বকুল,গ্রাম দাউদপুর, থানা বিরামপুর,দিনাজপুর।
পুলিশের উপস্থিতিতেই বাল্যবিবাহের আয়োজন-
ঘটনাস্থলে বিরামপুর থানার জরুরি পুলিশ টিম উপস্থিত ছিলেন। দায়িত্বে ছিলেন,এসআই আশরাফুল ইসলাম, এসআই মাজেদুল ইসলাম এবং সঙ্গীয় কনস্টেবলগণ। তারা মেয়ের বাড়ির ভেতরে অবস্থান করলেও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কোনো পদক্ষেপ নেননি। বরং উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা ছেলে ও মেয়ের সাথে কথা বলতে চাইলে পুলিশ বাধা প্রদান করেন। স্থানীয়দের বক্তব্য :-
স্থানীয়দের অভিযোগ,ছেলে-মেয়ে দীর্ঘদিন সম্পর্কের মধ্যে ছিল। একপর্যায়ে স্থানীয় ছেলেপেলেরা তাদের ধরে মেয়ের বাড়িতে নিয়ে এসে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান—
> “আইনের চোখের সামনেই এ ধরনের বাল্যবিবাহ হচ্ছে। পুলিশ উপস্থিত থেকেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এতে আমরা হতাশ।”আরেকজন বলেন—
> “এভাবে চলতে থাকলে গ্রামে বাল্যবিবাহ বন্ধ হবে না,বরং বাড়বে। প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”
গোপনে বিয়ের প্রস্তুতি-
পরে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা গণমাধ্যমকর্মীদের কৌশলে বাইরে নিয়ে যান। এসময় ছেলেকে গোপনে অন্যত্র সরিয়ে বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা গেছে। অভিযোগ প্রশাসনের কাছে-
এ ঘটনায় বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর জানানো হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
>সামাজিক প্রতিক্রিয়া-
বাল্যবিবাহ আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও প্রশাসনের উদাসীনতায় এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করেছেন সচেতন মহল। তারা জোর দাবি জানিয়েছেন,দায়ীদের চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে তার নিশ্চয়তা দিতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট