মোঃ হাফিজ সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরা শহরের পৌরসভার কামাল নগর ৮নাং ওয়ার্ডের মধ্যেপাড়া স্থানীয় বসবাসকারি বাসিন্দা মোঃ, জাফর আলী ও আঃ করিমের সাথে জমির সিমানা নির্ধারণ কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল হাতাহাতি হয়। এক পর্যায় জাফরের ছেলে জাকারিয়া, কিবরিয়া,ও আসিব,এলোপাতাড়ি মারধর করেন কামরুল, মনিরুল, ও তার ভাইপো কে। তিনজন আহত হয় ঘটনাটি ঘটে আনুমানিক দুপর ১টার দিকে সীমানা নির্ধারণের জন্য কথা কাটাকাটি শুরু হলে জিয়াই পাইপ ও রড দিয়ে জখম করেন আঃ করিমের ছেলে, মোঃ কামরুল ইসলাম মোঃ মনিরুল ইসলাম ও তার ভাইপো কে। আহত হন কামরুল মনিরুল ও তার ভাইপো কামরলের অবস্থা আশংকা দেখে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য জরুরি ভাবে নিয়ে যায় গ্রামের স্থানীয়রা। কামরুল ও মনিরুল জানান প্রতিপক্ষরা মীমাংসা নিয়ে একমত নাহলে আমরা আইনের সহযোগিতা নিবো, এই জমি নিয়ে একবার না কয়েক বার বসাবসি ও হয়েছে। এলাকার অনেকে মুরুব্বি দের নিয়ে এবিষয়ে অনেকে বসেছেন। কিন্তু মানতে রাজি না আবু জাফর, এবং পৌরসভার আমিন দিয়ে মাপার পরেও ওয়ার্ডের মেম্বারদের নিয়েও বসেছিল কিন্তু তাতেও নারাজ মোঃ জাফরের ছেলে জাকারিয়া কিবরিয়া ও আসিব, কথায় কথায় হুমকি ধামকি দিয়ে আসেন এলাকায়। হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে, জাকারিয়া ও কিবরিয়া, অসাধু অবৈধ ব্যবসা বানিজ্য করে হঠাৎ জমির ঠপরে পাঁচ তলা বিশিষ্ট বিশাল বহল একটি বিল্ডিং তৈরি করছেন এই জাকারিয়া ও কিবরিয়া, এর পিছনে কোন না কোন রহস্য লুকিয়ে আছে। এলাকার স্থানীয় মানুষ জানান এরা এখানে স্থানীয় বাসিন্দা আমাদের পাশের শরিক, কিবরিয়া ও জাকারিয়ার বাবা আবু জাফর পা ভ্যান চালাতো সংসার টা কোন রকম চলতো, জাফরের কষ্ট না দেখতে পেরে আত্তি ওরা আবু জাফর কে একটি ব্যাটারি ভ্যান কিনে দেন, আর বড়ো ছেলে কিবরিয়া কাঠের মিস্ত্রির কাজ করতো, মেজ ছেলে খুব কষ্টের সাথে যুদ্ধ করে লেখাপড়া করতেন জাকারিয়া, এখন দেখছি দু এক বছরের মধ্যে কোটিপতি বোনে গেছে, এনিয়ে এলাকার সব হতাশ হয়ে পড়েন, কোথায় পেলো এতো টাকা, এতো দিন যাদের ঠিকমতো খাওয়া হতো না তিন বেলা তিন মুঠ ভাত। এটাকার ভিত কোথা থেকে আসলো, এখন জাফরের ফ্যামিলির সদস্যরা বিলাশ বহল জীবন জাপান করেন ফ্যামিলি নিয়ে আবু জাফর। প্রতি বেশি মনিরুল ও কামরুল বলেন আমরা এক জায়গায় বসবাসকারী আমাদের সাথে তাদের কোনদিন ঝগড়াঝাটি হয়নি কিন্তু এখন তারা সবকাজে মাথা চাড়া দেয় হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছ এবং মানুষের উপর চড়াও হয় যখন তখন গায়ের উপরে ঝাপিয়ে পড়েন জাফরের দুই ছেলে কিবরিয়া ও জাকারিয়া। কথায় কথায় ধারওয়ালা অস্ত্র ও জিয়াই পাইপ লম্বা দাও নিয়ে ছুটে আসেন, জাকারিয়া মরিয়া হয়ে উঠছে, যাদের একবেলা ঠিক মতো ভাত খেতে পরতো না তারা এখন কোটি কোটি টাকা পায় কোথায়। আবু জাফর বলেন আমার দোকান ও ব্যাবসা আছে তাতে আমার চলে। কিন্তু স্থানীয়রা বলেন আপনি ভাই কোটি কোটি টাকা কোথায় পেলেন জবাবে কোন কথা।না।বলে সেখান থেকে চলে জান আবু জাফর। আবু জাফর ও জাকারিয়ার তাদের এখন দোকান পাট ব্যবসা বানিজ্য শুধু মাএ শো এদেখিয়ে চলেন তারা। কাউকেই জানতে দেয় না কিন্তু আসল রহস্য টা খুজলে কেছো খুড়তে কেউটি সাপ বেরিয়ে আসবে মনে করেন এলাকার স্থানীয় মানুষেরা। আঃ করিম ও তার দুই ছেলে বলেন সিমানা নিয়ে আপস না করলে আইনি ব্যাবস্তা নিবো আমরা।
৮নাং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ শফিকুর আলম বাবু বলেন সিমানা নিয়ে এ বিষয়ে আমরা দেখবো। চিকিৎসা নিয়ে আসলে এক জায়গায় বসে যাতে মিমাংসা সমাধান হয়।