মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি:
যশোরের মণিরামপুরে আলোচিত ভ্যান চালক মিন্টু হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বিএনপি নেতা সাব্বির হোসেন ওরুপে বড় সাব্বিরকে অবশেষে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়েছে। রোববার গভীর রাতে অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। সোমবার পুলিশ তাকে আদালতে চালান দেয়। এ নিয়ে মিন্টু হত্যা মামলায় মোট ৩ জনকে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, পাওনা পাঁচ হাজার টাকা আদায় করাকে কেন্দ্র করে পৌর শহরের হাকোবা এলাকার আবদুল আজিজের ছেলে ভ্যান চালক মিন্টু হোসেনের সাথে ২৮ আগষ্ট রাত সাড়ে আটটার দিকে পৌর বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সাব্বির হোসেনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সাব্বিরের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা ভ্যান চালক মিন্টুকে মারপিটের পর ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। এ সময় মিন্টুর ভাই সেন্টু, পিকুলসহ আরো ৪জনকে মারপিটে আহত করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় মিন্টুকে উদ্ধারের পর যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ আগষ্ট রাতে মিন্টুর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের আমেনা বেগম বাদি হয়ে বিএনপি নেতা সাব্বির হোসেনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ ওই রাতে হাকোবা গ্রামের বারিক সরদারের ছেলে ফারুক হোসেন এবং বিল্লাল হোসেনের ছেলে ছোট সাব্বিরকে গ্রেফতার করে।
এ দিকে ঘটনার পর ৩০ আগষ্ট যশোর জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি মারফত মণিরামপুর পৌর বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সাব্বির হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কার করেন। সোমবার রাতে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী এলাকা থেকে প্রধান আসামি বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা সাব্বিরকে গ্রেফতার করে। মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবলুর রহমান খান আটকের সত্যতা স্বীকার করে জানান, সোমবার দুপুরে সাব্বিরকে আদালতে চালান দেওয়া হয়।