যশোর জেলা প্রতিনিধি,
৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫:আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র পরামানিক হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন। ধর্ম নিয়ে কোনো প্রকার রাজনীতি নয় উল্লেখ করে তিনি এবারের দুর্গাপূজায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার দাবি জানান এবং প্রতিটি পূজা মন্ডপের কমিটিকে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
শুক্রবার যশোর জেলা প্রতিনিধি নয়ন রায়ের সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।গোবিন্দ চন্দ্র পরামানিক আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “একটি দুষ্ট চক্র সবসময় সুযোগের সন্ধানে থাকে এবং একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠী নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটাতে পারে।” এই কারণে, তিনি সরকারি প্রশাসনিক নিরাপত্তার পাশাপাশি প্রতিটি পূজা মন্ডপের কমিটিকে স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করে মন্দির ও প্রতিমা পাহারা দেওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, “প্রতিমা নির্মাণ থেকে শুরু করে পূজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কমিটির লোকদের সজাগ থাকতে হবে, ঘরে ঘুমিয়ে থাকলে চলবে না।”
গোবিন্দ চন্দ্র পরামানিক দুর্গাপূজার সময় আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সমালোচনা করে বলেন, “দুর্গাপূজা বা অন্য কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অশ্লীল নাচ-গান, বিশেষ করে হিন্দি এবং বাংলা ডিজে গানের সাথে নাচ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে।” তিনি এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে হিন্দু ধর্মের অপসংস্কৃতি হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, “আজ হিন্দু ধর্মের অধঃপতনের মূল কারণ এই সব নাচ-গান, যা হিন্দু ধর্মের কোনো অংশই নয়। এসবের কারণেই বিধর্মীরা সুযোগ পায়।”
পূজা কমিটির নেতাদের সততা ও নিষ্ঠার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “অনেক পূজা কমিটির দুষ্টু নেতারা টাকা, ক্ষমতা এবং চাঁদাবাজির লোভে যুবক-যুবতীদের অপসংস্কৃতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।” তিনি পূজা কমিটিগুলোতে বিধর্মী এবং প্রভাবশালী দুষ্টু লোকদের স্থান না দিয়ে, তার পরিবর্তে ধার্মিক ও নিয়মিত পূজা-অর্চনা করেন এমন সাধু ব্যক্তিদের দিয়ে কমিটি গঠন করার আহ্বান জানান।
সর্বোপরি, এবারের দুর্গাপূজা যাতে শান্তিপূর্ণ এবং ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে উদযাপিত হতে পারে, সেজন্য সকল হিন্দু সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার এবং পূজা মন্ডপের পবিত্রতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তিনি জোর দাবি জানান।