নিউজ ডেস্ক :
এমামুল হাসান
সম্প্রতি থাইল্যান্ড-কাম্বোডিয়ার মধ্যকার বিরোধে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনের পর, আবারও আঞ্চলিক সংকট সমাধানে মালয়েশিয়ার সহায়তা চাওয়া হচ্ছে।
এবার বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার সহায়তা চেয়েছে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে—এই রাষ্ট্রহীন জাতিগোষ্ঠীটি মিয়ানমারের সীমানা ঘেঁষা নাফ নদীর তীরে অবস্থিত শরণার্থী শিবিরে বসবাসের জন্য মুসলিম দেশটির দয়া ও সহমর্মিতার আশায় আছে।
সোমবার থেকে শুরু হওয়া মালয়েশিয়া সফরের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস, প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিমের কাছে যেকোনো ধরণের সহায়তা চেয়েছেন, যার মধ্যে আসিয়ান চেয়ারম্যান হিসেবে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানোর বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত।
রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা মালয়েশিয়ার কাছে নতুন কিছু নয়। ১৯৭০-এর দশক থেকেই দেশটি ধর্মীয় ও মানবিক কারণে এই জাতিগোষ্ঠীকে গ্রহণ করে আসছে।
তাই এতে আশ্চর্যের কিছু নেই যে ঢাকা বিশ্বাস করে, পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে পুত্রাজায়া এই মানবিক সংকটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
প্রতিবার মিয়ানমারের সিত্তে অঞ্চলে সংঘর্ষ দেখা দিলে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঢল বাংলাদেশে নামে। মিয়ানমার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে থাকা শরণার্থীরা দল বেঁধে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বর্তমানে কুতুপালং শিবিরে ৩ লক্ষাধিক শরণার্থী রয়েছে, যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় অস্থায়ী শিবির—এটিই প্রমাণ করে যে এই জটিল সমস্যার দ্রুত সমাধান কতটা কঠিন।