হাফিজুর রহমান(কেশবপুর)প্রতিনিধি
কেশবপুর উপজেলার হাসানপুর বাজারে সন্তানের স্বীকৃতি চাওয়ায় তাসলিমা বেগমকে বেধড়ক মারপিট ও হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে সোহাগ হোসেনকে গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
বুধবারবার (১৩ আগস্ট ) সকালে হাসানপুর বাজারের প্রাণকেন্দ্র চার রাস্তার মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাজারের অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ী,এলাকাবাসী ও সাধারণ জনগণ অংশ নেয়। মানববন্ধন থেকে অসহায় নারী তাসলিমা বেগম ও তার শিশুকন্যা রোজা খাতুন (৬মাস) এর উপর হামলাকারী দুশ্চরিত্র, লম্পট সোহাগ হোসেনের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়।
অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,টিটাবাজিতপুর গ্রামের মোঃ সোহাগ হোসেন (৩০ বিবাদী তাসলিমা বেগমের সাথে বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগ করিয়া একপর্যায়ে তার বাড়িতে আসা যাওয়া শুরু করে। বাড়িতে আসা যাওয়ার মাঝেমধ্যে সে তাসলিমা বেগমকে জোরপূর্বক ভাবে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ধর্ষণের একপর্যায়ে সে গর্ভ ধারণ করে এবং উক্ত বাচ্চা পরবর্তীতে ভূমিষ্ঠ হয়, যার নাম মোছাঃ রোজা খাতুন (৬ মাস)। উক্ত বাচ্চা ভূমিষ্ট হওয়ার পর থেকে বিবাদী তাকে ও তার বাচ্চাকে খুন জখম ও প্রাণনাশের বিভিন্ন ভাবে প্রচেষ্টা চালায় আসতেছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬ আগস্ট ২০২৫ বেলা ১২ টার সময়ে উক্ত বিবাদী হাতে ধারালো হাসুয়া নিয়া কেশবপুর থানার হাসানপুর বাজারস্থ আমার উক্ত ভাড়া বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করিয়া বিবাদীর বাচ্চা কে প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে ঘরে প্রবেশ করে ধারালো হাসুয়া দিয়া কোপ মারার সময়ে তাসলিমা টের পেয়ে বাধা প্রদান করলে উক্ত বিবাদী তার গলা ধরে ধাক্কা দিয়া মাটিতে ফেলাইয়া পা দিয়া লাথি মারে ও কিল, ঘুসি মেরে জখম করে। এরপরে বিবাদীর কাছ থেকে উক্ত হাসুয়া জোরপূর্বক ভাবে নিয়ে নিলে উক্ত বিবাদী ঘরে থাকা লোহার শাবল দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে বাদীর মাথায় স্বজোরে আঘাত করলে তাৎক্ষণিক গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তাসলিমা। ওই সময়ে তার ডাক চিৎকারে ও সংবাদ পেয়ে আশপাশের লোকজন চলে আসলে বিবাদী তাকে ও তার শিশু কন্যাকে খুন জখমের হুমকি প্রদান করে চলে যায়। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাদের উদ্ধার পূর্বক তাৎক্ষণিক চলতি ইজিবাইকযোগে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, অভিযুক্ত সোহাগ হোসেন হাসানপুর বাজারের একজন কম্পিউটার মেকানিক,গত বছরগুলোতে তার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ ছিল, বাজারে কয়েক বার তাকে নিয়ে সালিশ করতে হয়েছে। সে একজন দুশ্চরিত্র ও লম্পট।অসহায় নারী তাসলিমা বেগমকে বেধড়ক মারপিট ও জখম করায় তাকে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূল শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
উক্ত ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি আসামিকে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং সন্তানের স্বীকৃতির জন্য আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সোহাগ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার ব্যাপারে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।আমি তাসলিমাকে মারধর করিনি।ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে সে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।