মিরু হাসান বাপ্পি স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়া শহরতলির বারপুর এলাকায় অবস্থিত ড্রিম প্যালেস নামের একটি আবাসিক হোটেলে অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অভিযানের সময় স্থানীয় জনতার বিক্ষোভে হোটেলের ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। পরে সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি দল অভিযানে যায়। অভিযোগ ছিল, হোটেলটিতে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চলছে। অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন সেখানে জড়ো হয়ে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন এবং একপর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে ফেলেন।
পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠলে নিরাপত্তার স্বার্থে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যরা হোটেলের ভেতরে আশ্রয় নেন। রাত ৮টার দিকে সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরে হোটেল থেকে অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জন নারী ও ২ জন পুরুষকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। অভিযানের সময় হোটেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পালিয়ে যান। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশে হোটেলটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাশির বলেন, “অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। হোটেলের মালিক ও কর্মচারীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, শহরের আবাসিক এলাকায় অনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।