1. nazirhossen6120@gmail.com : দৈনিক লোকবাণী : দৈনিক লোকবাণী
  2. info@www.lokobani.com : দৈনিক লোকবাণী :
সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সাতক্ষীরার তলুইগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকেরর বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ টাঙ্গাইলে প্রতারণার মামলার পর বাদীর স্বামীকে লক্ষ্য করে মিথ্যা কাউন্টার মামলা ও অপপ্রচার: সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ হাদী ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিরামপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল বগুড়ায় ট্রাক ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১ ও আহত ৩ বড়াইগ্রামে সুদ ও চেক প্রতারণার অভিযোগে আইনজীবীর বিরুদ্ধে মানববন্ধন দেবহাটার সখিপুর বিএনপির আয়োজনে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়ানুষ্টান হাদীস ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে ছাত্র জনতার বিক্ষোভ মিছিল স্বামীর নির্যাতন-হামলার অভিযোগে বগুড়া থানায় গৃহবধূর মামলা সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেলেন অর্থোপেডিক ও স্পাইন সার্জন ডা. মো. মাহমুদুল হাসান (পলাশ) সাতক্ষীরায় যাত্রীবাহি বাস উল্টে ইজিবাইকের উপর পড়ে নিহত-১, আহত-৭

মণিরামপুরের ঝাঁপা ইউনিয়নে এক কাজের দু’টি উন্নয়র প্রকল্পের অর্থ ভাগবাটোয়ারার অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম :
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫
  • ১২৯ বার পড়া হয়েছে

নূরুল হক, মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি:
মণিরামপুরের ঝাঁপা ইউনিয়নে বিভিন্ন উন্নয়নকল্পে ৩টি সংস্থা থেকে ১৩টি প্রকল্পের বিপরীতে চলতি অর্থ বছরে বরাদ্দ করা হয় প্রায় ৩৩ লাখ টাকা। আর এসব প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে ৩০ জুন সমুদয় টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। তবে অভিযোগ রয়েছে নয়ছয় করে দু-একটি প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা হলেও অধিকাংশ প্রকল্পের কাজ এখনও বাস্তবায়ন করা হয়নি। সরেজমিন গিয়ে প্রকল্প সমুহের খোঁজখবর নিয়ে এবং বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের সাথে আলাপ করে উন্নয়নের নামে ১৩ প্রকল্পের অধিকাংশ টাকা সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ভাগবাটোয়ার চিত্র ফুটে উঠেছে।
জানাযায়, ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর ঝাঁপা ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা শামছুল হক মন্টু আত্মগোপনে চলে গেলে উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার রেজাউল হককে ইউপি প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর পর ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ইউনিয়নের উন্নয়ন কল্পে তিনটি সংস্থা থেকে বরাদ্দ করা হয় ৩২ লাখ ৯৪ হাজার ২’শ টাকা। এর মধ্যে উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন তহবিল থেকে পাঁচটি প্রকেল্পর জন্য ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৩’শ টাকা। এডিবি থেকে তিনটি প্রকল্পে ৯ লাখ ৩ হাজার ৯’শ টাকা এবং বিবিজি থেকে পাঁচ প্রকল্পে ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। নিয়ম রয়েছে সব কাজ সম্পন্ন করে গত ৩০ জুনের মধ্যে বরাদ্দকৃত টাকা উত্তোলনের।
খোঁজখবর নিয়ে জানাগেছে, গত ৩০ জুনের মধ্যে সব টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। কিন্তু সরেজমিন গিয়ে পাওয়া যায় ভিন্ন চিত্র। ১৩ প্রকল্পের মধ্যে নামকাওয়াস্তে তিনটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ঝাঁপা বাওড়পাড়ের রেষ্টহাউজটি সংষ্কার ও টয়লেট নির্মানের জন্য উন্নয়ন তহবিল থেকে বরাদ্দ হয় ৬লাখ টাকা। কিন্তু দেখাযায় রেষ্টহাউজের ভেতরে দুইটি দেওয়াল ও পুরাতন টয়লেটটি সংস্কার করা হয়েছে। এছাড়া দেওয়া হয়েছে একটি সোফাসেট আর করা হয়েছে রং। স্থানীয় আসাদুজ্জামান নামে এক ব্যবসায়ী জানান, রেষ্টহাউজে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। কিন্তু উত্তোলন করা হয়েছে ৬ লাখ।
অপরদিকে বিবিজি থেকে পাঁচটি প্রকল্পের জন্য ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। ইতোমধ্যে সমুদয় টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ কাজ এখনও সম্পন্ন হয়নি। পাঁচ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স মতলেব এন্ড সন্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আমির হোসেন বলেন, আমার লাইসেন্সের নামে পাঁচটি কাজ দেখানো হলেও বাস্তবায়ন করেছেন ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ।  এরমধ্যে ইউনিয়নের ডিজিটাল সেন্টারের জন্য একটি ডেক্সটপ কম্পিউটার, একটি ফটোষ্ট্যাট মেশিন, একটি টেবিল ও একটি আলমারি ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ হয় ২ লাখ সাত হাজার ২’শ টাকা। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে পুরাতন ফটোষ্ট্যাট, কম্পিউটার ও টেবিলটি নতুন করে ক্রয়ের ভাউচার জমা দেওয়া হয়েছে। তবে আলমারি এখনও ক্রয় করা হয়নি। অন্যদিকে চেয়ার টেবিল ক্রয়ের জন্য আবার এডিবি থেকে আরো ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। একই কাজের জন্য দুই প্রকল্প থেকে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।এ ছাড়াও এডিবি থেকে কোমলপুর বাজারে টয়লেট নির্মান ও পানি সরবরাহের জন্য বরাদ্দ হয় ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৯’শ টাকা। সমুদয় টাকা উত্তোলন করা হলেও এখনও নির্মান সম্পন্ন হয়নি। অভিযোগ রয়েছে মাত্র দুইদিন আগে টয়লেট নির্মান শুরু হয়েছে স্থানীয় বাজার কমিটির নেতৃত্বে। কিন্তু এখানেও শুভাঙ্করের ফাকি দেওয়া হয়েছে। বাজার কমিটির সভাপতি আবদুস সালাম বলেন, এ পর্যন্ত ইউএনও অফিস থেকে ২ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। তবে স্থানীয় এক রাজমিস্ত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, টয়লেটটি নির্মান করতে সর্বোচ্চ খরচ হবে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। একই দৃশ্য চোখে পড়ে ঝাপা বাজারে মাছহাটের টিনের ছাউনি নির্মানের ক্ষেত্রে। মাছ বিক্রেতা রবীন বিশ^াস জানান, টিনের ছাউনি দিতে সর্বোচ্চ খরচ হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। অথচ বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ লাখ টাকা। অন্যদিকে ষোলখাদা বাজারে টয়লেট নির্মান শুরু হয় মোতলেব হোসেন নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির জমিতে। পরে আবার সেটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। এখনও টয়লেট নির্মান করা হয়নি।
তবে এ সব অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে ঝাঁপা ইউপি প্রশাসক রেজাউল হক জানান, সব প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে দ্রæত সময়ের মধ্যে সমাপ্ত করা হবে। উন্নয়ন তহবিল ও এডিবির প্রকল্প দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী অফিস। অভিযোগ রয়েছে তারাও এ ভাগবাটোয়ার অংশিদার হওয়ায়  সঠিকভাবে দেখভাল করেননি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদ জানান, প্রকল্প সমুহের মধ্যে কিছু কাজ ইউএনও অফিস ও ইউপি পরিষদ দেখভাল করছেন। তবে কাজের গুনগতমানে ত্রæটি করার কোন সুযোগ নেই। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্না বলেন, যতদুর জানি প্রকল্পের কাজ সমুহ ভালো হচ্ছে। তার পরও অভিযোগসমুহ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট