1. nazirhossen6120@gmail.com : দৈনিক লোকবাণী : দৈনিক লোকবাণী
  2. info@www.lokobani.com : দৈনিক লোকবাণী :
বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কালিহাতীতে ঐতিহাসিক ৫ আগস্ট উপলক্ষে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উত্তেজনা বিরামপুরে গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বিজয় মিছিল জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে নওগাঁয় শহীদ শ্রাবণের প্রতি শ্রদ্ধা কেশবপুর উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে জুলাই গণ- অভ্যুথনের বিজয় র‍্যালী উদযাপিত সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ সড়ক দ্রুত সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিজয় র‍্যালী মোরেলগঞ্জে জামাতের গণমিছিল ও মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হলো BILS-এর ৩য় বার্ষিক Rockland Retreat and Book Fair দুই দিনব্যাপী সাহিত্য-সংস্কৃতির মহামিলন সাপাহারে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিএনপির বিজয় মিছিল ও সমাবেশ সাতক্ষীরায় জুলাই শহিদ ও যোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান

অন্তরবাস

মোঃ নাজির হোসেন
  • প্রকাশিত: রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

অন্তর বাস
************
।। রচনায় মোঃ নাজির হোসেন।।
সবার জীবনে একটা সীমারেখা নির্দিষ্ট করা থাকে। কিন্তু সুমার জীবনে এরকম নির্দিষ্ট করা ছিলো। ছিলো না আধুনিক শাসন, বারণ। তবে স্বাধীনতা থাকলেও নিজের থেকে সে ছিলো পরাধীন। মা বাবার দু সন্তানের মধ্যে ছিলো সে ছোট, বড় বোনের ভালোবাসায় আর মা বাবার আদরে সন্তান ছিলো। শহর থেকে বহু দুরে এক প্রত্যান্চল সোনালীপুর গ্রামে মধ্যবিত্ব পরিবারে তার জন্ম।
খুব ডানপিটে মেয়ে এই সুমা। যেটা ভাবা সেটা করা।খেলা ধুলায় পারদর্শী ছিলো তার। লেখা পড়ায় বেশ মনোযোগী, ভালো রেজাল্ট করা তার দৃঢ়বিশ্বাস।
বন্ধু বান্ধব প্রিয় ছিলো সুমা।
কিশোরীতে প্রাইমারি পাশ করে সেকেন্ডারি পড়াশোনায় আরও বেশি মনোযোগ দিলো সে। মাধ্যমিক পাশ করে, কলেজে ভর্তি হলো। দিন দিন বাড়তে থাকে বন্ধু বান্ধব।
তবে তার ইচ্ছা সাধারণ মানুষের সেবামূলক কাজ করে পাশে দাড়াবে। সেই লক্ষে সে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন মুলক কাজে জড়িত হয়। মানুষ তাকে প্রচুর ভালোবাসে।
অন্তহীন ভালোবাসা, সবার কাছে সে হয়ে গেলো অন্তহীন রাণী।।
মানুষের উপকার করতে হলে কিন্তু একা একা কিছুই করা যায়না। তার জন্য ব্যক্তিগত ভাবে আপনজনের সংস্পর্শ থাকতে হয়৷
সুমার নিজের কোনো ভাই না থাকায় একটি প্রিয় ভাই পেলেন।
দু ভাই বোন এবাড়ি ও বাড়ি ছোটাছুটি, মানুষের সেবাকরা সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজ করে বেড়ায়।
একদিন সুমা তার ভাইকে বললো –
সুমা: আমার পথ চলার পথে সকল বাঁধা উপেক্ষা করে সাহস যুগিয়েছিস। এই ভাবে আমাদের ভাই বোনের ভালোবাসা কত দিন থাকবে??
ভাই : সারাজীবন, তুই তো আমার একমাত্র বোন।তুই জানিস না? একদিন আমাদের বাড়িতে না এলে বাবা মা কেমন করে? বোকা বোন আমার।তোকে কি আমি কখনো ভুলতে পারি?
(সুমা এটাও জানে যে তার কাকিমা অনেক অনেক ভালোবাসে।কাকিমার সাথে তার পাড়ার আর মহিলাদের সাথে তেমন গল্প হয়না।তবু মাঝে মাঝে সুমাকে নিয়ে অনেক প্রসংশা করে।যেমনি কাকি মা ভালোবাসে তেমনি কাকা বাবু সুমা কে ভালোবাসে।)
এভাবে সুমা ২৩ বছর বয়স পার হলো। কখনো কেউ এখনো বিয়ের সম্মন্ধ নিয়ে আসিনি সুমার বাড়িতে। একদিন সুমার কাকা বাবু সুমাকে বললো মারে অনেক লেখা পড়া করেছো বয়স হয়েছে, এবার দেখে শুনে একটা ভালো পাত্র দেখে তোমার বিয়ে দেবো।
সুমা সাফ সাফ জানিয়ে দিলো, আমি নিজের পায়ে না দাড়িয়ে বিয়েতে বসতে পারবো না।
কাকি এরকম মনস্থির করার কারণে সুমা তার কাকিমার উপর একদিন রাগ করেছিলো। সেই থেকে আর কেও বিয়ের কথা বলেনা।
এভাবে দুরন্ত জীবন নিয়ে ভাই বোনের মানুষের সেবা সহ নানান কাজ করতে লাগলো। আর সুমা তার লেখা পড়া চালিয়ে যেতে লাগলো।
সুমার সেই প্রিয় ভাইটা ও আর সেই মাধ্যমিকে পড়া বালক নেই। সেও বড় হয়েছে। তার সাথে অনেক মেয়ে ছেলের বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে। এরি মধ্যে সুমার সেই আদরের ভাইটি একটি সুন্দরী মেয়ের ভালোবাসায় আসক্ত হয়েছে। টানা বছর খানেক তাদের সম্পর্ক। সুমার ভাইয়ের বাসায় সেই মেয়েটি মাঝে মধ্যে যাতায়াত করে।
সে ঘটনা সুমার কাকা,কাকি সবাই জানে। এবং সেই মেয়েও জানে সুমা হলো তার হবু স্বামীর নিজের বোন নয়। এলাকার বোন হিসাবে জানে।
হিংসাত্মক বেড়ে গেলো সুমার উপর। প্রতিনিয়ত সুমার ভাইকে বলে থাকে ও তোমার কেমন বোন, কেনো রোজ রোজ তোমাদের বাড়িতে যায়।
কিন্ত সুমার ভাই কিছুই বলতে পারেনা সুমাকে। কারণ একদিন কথা দিয়েছিলো সুমাকে যে বিপদে আপদে তার পাশে থাকবে, সুমা তার নিজের বোন বলে সকলের সাথে বলে বেড়াতো। তাকে কি করে নিষেধ করবে।
এমনটা দেখে একদিন সুমার ভাইয়ের ভালোবাসার মানুষটি সুমা কে বললো।
কিরে? তুই কেমন মেয়ে, এতো করে বলি তবুও তুই আমার শশুর বাড়ি কি করতে যাস? লজ্জা করেনা তোর? আর কখনো তুই আমার শশুর বাড়িতে যাবিনা বলে দিলাম।
হঠাৎ এমন কথা শুনে সুমা যেনো গাছ থেকে পড়লো। প্রতিবাদের ভাষা হরিয়ে ফেললো সে।
সুমা ছিলো বুদ্ধিমান মানুষ তাই তার সাথে ঝামেলা না করে তার ভাই কে সব কথা শেয়ার করলো।
একদিন দুইদিন এভাবে মাস পার হলো। আদরের ভাই কোনো দিন তার প্রতিবাদ করেনি। সেই থেকে ভাই বোনের পবিত্র সম্পর্ক ছিদন হলো। সুমা আর তার কাকা কাকির বাড়িতে সময় পেলেও যায়না।ভাই ও আর যেতে বলেনা।যদি কেউ জিজ্ঞেস করে সুমা আর আসেনা কেনো? তখন ভাই বলে তার পড়ার চাপ রয়েছে তাই আসতে পারেনা। আরও কত কি বলে এড়িয়ে যায়।সেসব কথা এখন সুমা আর শুনতে চাই না। তবুও ভুলতে পারেনা ভাইটাকে। আজও
নিরব কান্না, হাহাকার রিদয় নিয়ে সুমা আজও বেঁচে আছে। দ্বিতীয় কারোর সাথে বিষয়টি বুঝতে দেয়নি যে তার ভাই আর তার ভাই নাই। শুধু ভাইয়ের স্মৃতি বিজড়িত দিন গুলি মনে করে অঝর ধারায় নিরব কান্নায় অন্তহীন রাণীর মতো আধারে আলো খোঁজে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট