1. nazirhossen6120@gmail.com : দৈনিক লোকবাণী : দৈনিক লোকবাণী
  2. info@www.lokobani.com : দৈনিক লোকবাণী :
শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ০৩:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বিধবার মেয়ে বগুড়ায় অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় ঘটনায় যেভাবে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন তিনজন মণিরামপুরে ছিনতাই হওয়া টাকাসহ ৭ জন আটক তারেক রহমানের স্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নতুন সদস্যদের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত কলারোয়া পৌর সদর ঝিকরা ৪ নং ওয়ার্ডে মতবিনিময় ও আহবায়ক কমিটি গঠন প্রশাসন, আইন ও কোর্টের নির্দেশকে অমান্য করে চলেছে ভূমিপিপাস আব্দুল করিম ও জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সমবায় দল সাতক্ষীরা জেলা শাখার ১০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদিত সাতক্ষীরায় পর্নোগ্রাফি মামলার মূল হোতা কাদের মেম্বর র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার মায়ের রান্না খাওয়া হলো না সদ্য বিবাহিত নাহিদের

দেশের ৫৪তম বাজেট সম্পর্কে সিপিবির প্রতিক্রিয়া “মূল্যস্ফীতি রোধ করতে গিয়ে মন্দা সৃষ্টির বাজেট”

প্রতিনিধির নাম :
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :

কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স আজ ২ জুন বাংলাদেশের ২০২৫-২৬ সালের বাজেট ঘোষণা পরবর্তী এক বিবৃতিতে বলেছেন, এ বাজেট অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রথম বাজেট। সেই হিসেবে এটি একটি অনির্বাচিত সরকার প্রণীত বাজেট। স্বভাবতই এতে কোনো কাঠামোগত মৌলিক পরিবর্তনের সুযোগ নেই। তবে কিছু পদচিহ্ন রেখে যাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু সেরকম কোনো চমক বাজেট দেখাতে পারেনি।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এবারের বাজেট শুধু গতানুগতিক নয়, চমকহীনও বটে। উপরন্তু এবারের বাজেট হয়েছে সংকোচনমূলক ও মন্দার বাজেট। এই বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং আইএমএফ-এর নির্দেশ অনুযায়ী ‘বেল্ট টাইট’ করে ব্যয় কমানোর জন্য সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মোট বাজেটের আয়তন, মোট উন্নয়ন ব্যয়, মোট ঋণপ্রবাহ এক কথায় উৎপাদনশীল ব্যয় প্রসারের ওপর এই বাজেটে কোনো মনোযোগ দেওয়া হয়নি। ফলে আগামীতে প্রবৃদ্ধির যে টার্গেট ঠিক করা হয়েছে ৬ শতাংশের মতো, তা কার্যকর হবে না। বিশ্বব্যাংকের প্রক্ষেপণই বলে দেয় এই প্রবৃদ্ধির হার ৩ শতাংশের কাছাকাছি নেমে যেতে পারে। তার ফলে এ কথা প্রায় নিশ্চিত যে, আগামীতে প্রবৃদ্ধি কমবে, বেকারত্ব বাড়বে এবং দারিদ্র বাড়বে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এবারের বাজটের প্রত্যাশা ছিল লুটপাটকারীদের টাকা, পাচারকারীদের টাকা, ঋণখেলাপি ও কালো টাকার মালিকদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করে, বাজেটের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও দারিদ্র বিমোচনে অন্তবর্তীকালীন সরকার বিশাল পরিমাণ ব্যয় করতে স্বচেষ্ট হবে। বৈষম্য কমিয়ে আনার জন্য অতি ধনীদের কাছ থেকে সম্পদ কর আদায় করে বাজেটকে আরও বৈষম্য বিরোধী ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ নির্ভর করা হবে। কিন্তু এ দিক দিয়ে সুদের বোঝা ও রাজস্ব তোলায় ব্যর্থতার জন্য বাজেট তা করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। কিছু সামান্য এদিক-ওদিক শুল্ক বাড়ানো-কমানো ও নিম্ন আয়ের মানুষের কর ছাড় ও সামাজিক সুরক্ষা আওতায় কিছু সংস্কার ছাড়া বাকি সব জায়গায় কোনো পদচিহ্নই রাখতে পারেনি।

বিবৃতিতে বলা হয়, তদুপরি সুদের হার বেশি, ছোট মাঝারি শিল্প, কৃষকের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, তেল-গ্যাস বিদ্যুৎ খরচ বৃদ্ধি এবং আমদানিকৃত কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতির দাম বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে এই বাজেটের নিম্ন-মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও কৃষকের মধ্যে কোনো সুখবর নেই। এই বাজেট তাই গণতান্ত্রিকও নয়। এই বাজেট অবস্থা কি স্থিতিশীল রেখে আগামী বছর জুনের আগে নির্বাচিত সরকারের কাছে বাজেট বাস্তবায়নের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে রচিত একটি বাজেট। যেসব পদচিহ্ন রেখে যাওয়ার বড় বড় কথা অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন, তা তার বাজেটে শেষ পর্যন্ত আর স্থান পায়নি। এখন মূল্যস্ফীতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং টাকার মান কিছুটা স্থির করতে সরকার সক্ষম হয়েছে বটে, তবে এই বাজেটে সেটা নিশ্চিত করতে গিয়ে মন্দা বেকারত্ব বিদেশ নির্ভরতার বিপদ ডেকে আনার সমূহ আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট